ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’

‘ফণি’: আঘাত হানতে পারে কাল; ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০১৯

একুশ সংবাদ: দ্রুত এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’। ব্যাপক শক্তি নিয়ে উড়িষ্যা উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। আগামীকাল বিকাল নাগাদ এটি উড়িষ্যায় আঘাত হানতে পারে।

সেই সাথে আগামীকাল সন্ধার দিকে এটি বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সরাসরি বাংলাদেশে না এসে উড়িষ্যার দিকে গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বাংলাদেশের মংলা ও পায়রা বন্দর থেকে হুঁশিয়ারি সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে পূর্বের জারি করা চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার এর জন্য ৪ হুঁশিয়ারি সংকেত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান জাানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে ভারতে আঘাত হানার আশঙ্কা বেশি। এবং সন্ধায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।

এর প্রভাবে আগামীকাল সকাল থেকে বাংলাদেশে বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাস থাকবে। সেই সাথে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানান আব্দুর রহমান খান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বাতাসের শক্তি হাজার কিলোমিটার ব্যাসের বিস্তার নিয়ে এ ঝড় শুক্রবার দুপুর নাগাদ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপিতে যা আছে

বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১,০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

/আরএ

Comments