ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’

বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীতে নারী ও শিশু সহ ৬ জন নিহত

প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০১৯

ডেস্ক: বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই নারী ও এক শিশু সহ ৫ জন। ফণীর প্রভাবে ঘর চাপা ও গাছ চাপায় এসব প্রাণহানি ঘটে।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে গাছ চাপায় এক নারী নিহত হয়েছেন।  নিহতের নাম আনোয়ারা বেগম। মরদেহ রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল হক। নিহত আনোয়ারা রামগতির চর নেয়ামত এলাকার মো. সফিকের স্ত্রী।

এদিকে বরগুনা ও ভোলা জেলায় তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার রামচন্দ্র দাস জানান, বরগুনার পাথরঘাটায় দুই জন পুরুষ এবং ভোলা সদর উপজেলায় ঝড়ে একজন নারী প্রাণ হারান।

নোয়াখালীয় সুবর্ণচরে ঘরচাপায় মারা গেছে এক শিশু।  সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান, গতকাল মধ্যরাতে সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়ন ও চর জব্বর ইউনিয়নে ১২০ থেকে ১৩০টির ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে। এসময় ঘরচাপায় একশিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন।

এছাড়াও নোয়াখালীয়র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর কাঁকড়া ইউনিয়নে চর্তুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ফাহিমা আক্তার ঝুমুর গাছ চাপায় নিহত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহম্মেদ।

ফণীর প্রভাবে রাতভর থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হলেও সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে। মেঘনা নদীর পানি ৩-৪ ফুট উচ্ছতায় বাড়তে শুরু করেছে। নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে স্থানীয় প্রশাসনের। অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে না যেয়ে বেড়ী বাঁধের উপর অবস্থান করছেন। আবার অনেকে গবাদিপশুসহ আসবাবপত্র রেখে নিজের ঘর ছাড়তে রাজি নন।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা ও সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে বিভিন্ন সংগঠন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।

লক্ষ্মীপুর ভোলা-বরিশাল নৌ রুটে ফেরি চলাচলসহ সব ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শতাধিক যানবাহনসহ বিভিন্ন স্থানে ৩ শতাধিক মানুষ নদী পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে।

/আরএ

Comments