অগ্নিঝুঁকিতে রাজধানীর ৫৮ সুপার মার্কেট-শপিংমল : ফায়ার সার্ভিস

প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২৪

রাজধানীর ৫৮টি মার্কেট, সুপার মার্কেট ও শপিংমল অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে কিছু মার্কেট উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঢাকার অন্তত ৯টি সুপার মার্কেট ও শপিংমল আগুন দুর্ঘটনার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া মাঝারি ঝুঁকিতে রয়েছে ১৪টি ও স্বল্প ঝুঁকিতে ৩৫টি মার্কেট, সুপার মার্কেট ও শপিংমল।

অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে এমন মার্কেটগুলো হলো— রাজধানীর সিদ্দিক বাজারের রোজনিল ভিন্তা মাকের্ট, সদরঘাটের মায়া কাটারা, একই এলাকার শরিফ মার্কেট, পুরান ঢাকার চকবাজার উর্দু রোডের শহিদুল্লাহ মার্কেট, একই এলাকার শাকিল আনোয়ার টাওয়ার, লালবাগের আলাউদ্দিন মার্কেট, টিকাটুলির রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, আনন্দ বাজারে ফুলবাড়িয়ার বরিশাল প্লাজা মার্কেট, নিউ মার্কেট এলাকার গাউছিয়া মার্কেট।

মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো হচ্ছে— রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার এলাকার উত্তরা মার্কেট, ডেমরা সারুলিয়ার সালেহা শপিং কমপ্লেক্স ও মনু মিয়া শপিং কমপ্লেক্স, ওয়ারির একে ফেমাস টাওয়ার ও রোজভ্যালি শপিং মল, নিউ মার্কেট এলাকার মেহের প্লাজা, মিরপুর রোডের প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টার ও নিউ চিশতিয়া মার্কেট, মিরপুর রোডের নেহার ভবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোডের ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্স।

স্বল্প ঝুঁকিতে রয়েছে এমন মার্কেগুলো হলো— খিলগাঁও তালতলা স্কুটি করপোরেশন সুপার মার্কেট, জুরাইন এলাকার বুড়িগঙ্গা সেতু মার্কেট, খিলগাঁও সিটি করপোরেশন কাঁচা বাজার মার্কেট, একই এলাকার তিলপাপাড়া মিনার মসজিদ মার্কেট, ডেমরা সারুলিয়ার ইসলাম প্লাজা ও কোনাপাড়ার নিউ মার্কেট, ঢাকা দোহারের এ হাকিম কমপ্লেক্স ও লন্ডন প্লাজা শপিং মল, নবাবগঞ্জের শরীফ কমপ্লেক্স, মিরপুর কাফরুলের বাচ্চু মিয়া কমপ্লেক্স ও ড্রিমওয়্যার, মিরপুর ১ নম্বরের এশিয়া শপিং কমপ্লেক্স ও মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্স এবং ফেয়ার প্লাজা, তেঁজগাও শিল্প এলাকার পেপাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড ও বেগুন বাড়ির নাসা মেইনল্যান্ড, মাওলানা মুফতি দীন মো. রোডের জাকারিয়া ম্যানশন, লালবাগের হাজী আব্দুল মালেক ম্যানশন, মিরপুর রোডের চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিণ কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় আরো অন্তত ৭০ জনকে। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর ভবন অনুমোদন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো চিহ্নিত করণ করছে।

Comments