সোনাগাজী, ফেনী

যৌন হয়রানির অভিযোগের কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে মাদরাসা ছাত্রীকে পুড়িয়ে মারা চেষ্টা

প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০১৯

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীতে যৌন হয়রানির অভিযোগ করার কারণে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। ভিকটিম মাদরাসা শিক্ষার্থী চলতি এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আলিম পরীক্ষার্থী।

শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে দূবৃত্তরা কেন্দ্রে ঢুকে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ছাত্রীর ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান জানান, আজ (শনিবার) সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে নুসরাত জাহান রাফি (১৮) সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায়। এসময় ওই ছাত্রীকে দুর্বৃত্তরা জোর পূর্বক মাদ্রাসার ছাদে তুলে গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে ফেনী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন।

জানা যায়, ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে গত ১৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তির দাবীতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করে। অন্যদিকে আরেকটি অংশ অধ্যক্ষের শাস্তির দাবীতে মানবন্ধন করেন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ধারণা করা হচ্ছে ওই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়ে দূবৃত্তরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল আলম জানান, ওই ছাত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালের প্রেরণ করা হয়েছে।

ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের জানান, ছাত্রীর শরীরের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। প্র্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পুলিশ আগেই অভিযুক্তকে আটক করেছে। তবে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা কারা ঘটিয়েছে সেটি ক্ষতিয়ে দেখছে তারা।

/আরএ

Comments