চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত করিম ফিরোজের স্মরণসভা

প্রকাশিত: ১২:১২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৯

নাজমুল হাসান: ‘বরিশাল বিভিগীয় সমিতি’ চট্টগ্রামের মহাসচিব ও বাংলাদেশ দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল জেলা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার এনায়েত করিম ফিরোজের স্মরনে ইপিজেডস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে স্মরনসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বরিশাল বিভাগীয় সমিতি’ চট্টগ্রাম এই স্মরন সভার আয়োজন করেন।

স্মরন সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বিভাগীয় সমিতির আহবায়ক আফজাল হোসেন। অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ খান ও মো: মিজানুর রহমানের যৌথ সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সমিতির উপদেষ্টা এটিএম তারেক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাজী মো: জিয়াউল হক সুমন, লায়ন মজিবুর রহমান কোম্পানিসহ সংগঠনের অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, আপনাদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে ফিরোজ তালুকদারের প্রতি আপনাদের ভালোবাসা। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন এবং সমিতিভুক্ত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার আহবান জানান তিনি।

কাউন্সিলর হাজী মো: জিয়াউল হক সুমন বলেন, আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আর আপনারা যারা বৃহত্তর বরিশাল বিভাগ থেকে চট্টগ্রামে আছেন তারা একতাবদ্ধভাবে থাকুন। আমি আপনাদের পাশে আছি সবসময়।

মরহুম তালুকদার সম্পর্কে স্মৃতিচারন করতে গিয়ে এড. এম. বরকত উল্লাহ খান বলেন, তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। জনাব তালুকদার সারা জীবন মানুষের কল্যানে নিজেকে ব্যস্ত রেখে সাধারন মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন চিরদিন। এ সময় তিনি আবেগ প্রবন হয়ে পরেন।

এছাড়াও স্মরনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান অরণ্য, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বদরুল আমিন সবুজ, সি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হাসান, অমিত হাসান রাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাবউদ্দিন শিহাবসহ বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির অন্যান্য সদস্যগণ। উক্ত অনুষ্ঠানে চবি ছাত্র সমিতির সকল সদস্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন।

বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র সমিতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আমিন সবুজ তাকে স্মরন করে বলেন, জনাব তালুকদার এনায়েত করিম ছিলেন পরিচ্ছন্ন মনের অধিকারী, সদালাপী, সর্বদা হাস্যউজ্জ্বল থাকতেন। এক কথায় অসাধারণ এক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। আমরা তার কাছে যেকোনো বিষয়ে পরামর্শ নিতে যেতাম। কখনো কোনো ব্যাপারে তাকে বিরক্ত হতে দেখিনি।

তিনি শুধু মাত্র বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র সমিতির উপদেষ্টাই ছিলেন না তিনি ছিলেন চবির বরিশাল বিভাগীয় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক। তার মৃত্যুতে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-বরিশাল বিভাগীয় ছাত্র সমিতি’ একজন অভিভাবককে হারালো। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি! তার মৃত্যুতে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা এ বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

/আরএ

Comments