ঈদ সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী হচ্ছে রং মিশ্রিত লাচ্চা সেমাই

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০১৯

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা)প্রতিনিধি: পবিত্র মাহে রমজান ও আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সেমাই তৈরী করছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সেমাই তৈরীর কারিগররা। তবে অধিকাংশ অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক রং মিশ্রিত লাচ্চা সেমাই তৈরীর হিড়িক পড়েছে সেমাই কারখানাগুলিতে।

পবিত্র মাহে রমজানের পূর্বে ভেজাল খাদ্য দ্রব্য প্রস্তত ও বিক্রি বন্ধে সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় ভেজাল খাদ্য দ্রব্য প্রস্তত, বিক্রি বন্ধে নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশ অপেক্ষা করে অসাধু ব্যবসায়ীরা গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক কাপড়ের রং দিয়ে নোংরা পরিবেশে তৈরী করছে লাচ্চা সেমাই।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নাকাইহাটের পার্শ্বে বুড়ির ভিটা সড়কে বড়দহ গ্রামের শহিদুল ইসলামের বাড়ীতে পায়খানার সাথেই গড়ে তুলেছেন লাচ্চা তৈরীর কারখানা, সেখানে একদিকে যেমন পাঁ দিয়ে খঁচে ময়দার খামির করছেন। কারখানা শ্রমিকদের পা ও শরীরের ঘাম রোগের নানা জীবানু লাচ্চার খামিরেও মাছি পড়ে জীবানু এককার হয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে লাচ্চার খামিরে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকারক কাপড়ে দেয়া রং। উপজেলার ৫/৭টি পয়েন্টে তৈরি হচ্ছে পচাঁ তেলে ভাজা এসব নিম্ন মানের রং মিশ্রিত লাচ্চা সেমাই। আর বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাটবাজারে।

এসব দেখার জন্য ভোক্তা অধিকার আইন প্রতিষ্ঠা ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর থাকলেও তেমন কার্যকরি কোন পদক্ষেপ না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অপরদিকে ক্ষতিকারক রং মিশ্রিত ও ভেজাল খাদ্য দ্রব্য কিনে লোকজন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডা.বলেন, ভেজাল খাবার খেলে পেটের নানা পিড়াসহ রং মিশ্রিত খাবার খেলে ক্যান্সার এর মত জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)নাজির হোসেন বলেন, ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএম/

Comments