প্রসঙ্গ চকবাজার অগ্নিকাণ্ড

নিমতলী ট্রাজেডির পরই সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়ার ব্যার্থতা প্রমাণিত হয়: আমু

প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯

ডেস্ক: ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরাতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকতেই সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া আবোল-তাবোল বকছেন বলে মন্তব্য করেছেন আরেক সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু। তিনি বলেন, দিলীপ বড়ুয়ার ব্যক্তিগত অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে তিনি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন। সেটা ভেবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সেই ব্যর্থতার দায় তিনি আমার ওপর চাপাতে চেয়েছেন।

রোববার আজ দুপুরে ইস্কাটনের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমীর হোসেন আমু।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ বড়ুয়া বলেছিলেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমুর কারণে পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা সরানো যায়নি। তার এই অভিযোগের জবাবে আমির হোসেন আমু সোমবার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন, ‘নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে তিনি (দিলীপ বড়ুয়া) অগ্রিম এ ধরনের কথাবার্তা বলছেন।

আমীর হোসেন আমু আরো বলেন, নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে একটি কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিসিকের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে একটি ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটির সভাপতি হওয়ার কথা ছিলো তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার। তার অদক্ষতা ও অযোগ্যতা ও নির্লিপ্ততার কারণে তাকে সভাপতি করা হয়নি। এতেই তার ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়।

সাবেক এই শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রকল্প অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাই। আমার সময় কেমিক্যাল পল্লী গঠনের লক্ষ্যে ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন করানো হয়। তারপরই আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

এক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা ছোট আকারের ব্যবসা করেন। তারা এখান থেকে সরতে চান না। তাছাড়া, এসব প্রতিষ্ঠান শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্তও নয়। এসব কারণে কেমিক্যাল কারখান সরাতে সময় লাগছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আমু বলেন, এই ইস্যুতে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। দিলীপ বড়ুয়া এমন একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন যে দলে নিজ যোগ্যতায় একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ারও সামর্থ্য নেই।

/আরএ

Comments