তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর পুকুরে ফেলে হত্যা; কলেজ ছাত্র আটক

প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০১৯

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর পুকুরে ফেলে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত জয়দেব সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত সুস্মিতা ওই গ্রামের প্রশান্ত দাসের মেয়ে ও গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আটককৃত ধর্ষক জয়দেব ওই গ্রামের নির্মল সরকারের ছেলে ও বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

জানা যায়, সুস্মিতা প্রতিবেশী নির্মল সরকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে অম্বিকা সরকারের কাছে প্রতিদিন বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যায়।

প্রতিদিনের মতো গতকাল রোবার বিকেলেও সুস্মিতা প্রাইভেট পড়তে যায়। এসময় অম্বিকা বাড়িতে না থাকায় তার ভাই জয়দেব সরকার সুস্মিতাকে পড়ায়। পড়া শেষে সুস্মিতা বাড়ি ফিরে আসে।

এরপর সন্ধ্যায় তাকে গাবতলার সত্য রঞ্জন দাসের দোকান থেকে খাবার কিনে আবারও বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় জয়দেব। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুস্মিতাকে ধর্ষণ করে সে।

একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সুস্মিতা মারা গেছে ভেবে তাকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেয়। পরে গ্রামবাসী সুস্মিতাকে খুঁজতে খুঁজতে একপর্যায়ে পুকুরে জাল ফেলার কথা বললে পুকুর থেকে লাশ তুলে সুস্মিতাকে নিজের বাথরুমে ফেলে রাখে জয়দেব। রাত ১১টার দিকে পুলিশ সুস্মিতার লাশ উদ্ধার করে এবং জয়দেবকে গ্রেফতার করে।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জয়দেব সরকার ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এখন তাকে আদালতে তুলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি বিপ্লব কুমার নাথ।।

/এসএস

Comments