ক্ষতিপূরণ নয়, ধানের ন্যায্য মূল্য চান কৃষকরা নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:১১ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০১৯ আব্দুল্লাহ আল মারুফ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বোরো মৌসুমে ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না কামারখন্দ উপজেলার কৃষক। ধানের মূল্য এতটাই কম, যে উৎপাদন খরচও উঠছে না চাষদের। নিজস্ব জমিতে ধান চাষ করে প্রতি বিঘায় লোকসান হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩৫০০টাকা। এদিকে ধানের চাষের লোকসানের পর ব্যাংক ঋণ, এনজিওর কিস্তি, মহাজন ও সার-কীটনাশক ব্যবসায়ীদের দেনা পরিশোধ করতে দায় হয়ে পড়েছে। কৃষক নজরুল ইসলাম (৪০) জানান, ৩৩শতক জমিতে এক বিঘা জমিতে বোরো চাষ করতে এ বছর খরচ হয়েছে ১১,২০২টাকা। বীজতলা ও সংরক্ষণ ১,৩০০টাকা, সার ও ঔষধ বাবদ ২৫৫২টাকা, ধান লাগানো ও কাটা ৪৩২৫টাকা, নিরানী ২০০০টাকা,শ্রমিকের খাওয়া ৫২৫টাকা, ধান বাড়িতে আনা ৫০০টাকা। তিনি আরো জানান, এ বছর ৮-১০বিঘা জমি আবাদ করে ২৮-৩০ হাজার টাকার লোকসান হয়েছে। ৪৮০-৫০০টাকা ধানের দাম তারপরেও ধান বিক্রয় করতে পারছি না। ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার কারণে বউ ছেলে -মেয়েকে নিয়ে ঠিক মতো চলতে পারছি না। বর্তমানে ধানের দামের যে অবস্থা আত্মহত্যা ছাড়া কোনো বুদ্ধি নাই। সরকারী চাকুরী জীবিদের সর্বনিম্ন বেতন ২০-২৫ হাজার টাকা। আর কৃষকরা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে দুবেলা ডাল ভাত খেতে পারি না। ১ কেজি গরুর মাংসের দাম ৫২৫ টাকা আর একমণ ধানের দাম ৫০০ টাকা। কৃষক সব খাবারের সব কিছু উৎপাদন করে দেয় আর খাওয়ার সময় আমরাই খেতে পারি না, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ কেনা তো দূরে থাক চোখেই দেখি না, শুধু দাম শোনা পর্যন্তই। কিন্তু সরকারি চাকুরীজীবীরা ঠিকই ভোগ-বিলাস করেন। কৃষক নজরুল আরো জানান, সরকারকে ধানের ক্ষতি পূরণ দিতে হবে না, ধানের ন্যায্য মূল্য দিলেই আমরা খুশি। আজিজুল হক নামে আরেক কৃষক জানান, শ্রমিক সংকট সবচেয়ে বড় সমস্যা। সরকারি ভাবে ধান কাটার মেশিন কম্বাইন্ড যে মেশিন পাওয়া যায়। সেই মেশিন কিনতে অনেক টাকার দরকার। আর এতো মোটা টাকা পাবো কোথায়, সরকার যদি ওই মেশিন টাকা এইভাবে না দিয়ে যদি সরকারিভাবে কোন ড্রাইভার নিয়োগ দিয়ে আমাদের ধান কাটতো তাহলে আমরা কৃষকরা প্রতি ডিসিমালে ২০-২৫ টাকা কাটার দাম দিতাম, তাহলে একদিকে যেমন আমাদের কৃষকদের খরচ কম হতো অন্যদিকে শ্রমিক সংকট থাকতো না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান, এ বছর সরকারি ভাবে ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০২৬টাকা। একজন কৃষক সরকারিভাবে ধান দিতে পারবে সর্বনিম্ন ৩ মণ আর সর্বোচ্চ ৭৫মণ। কম্বাইন্ড মেশিনটার দাম ৭লক্ষ ২০হাজার টাকা কিন্তু এই মেশিন টি কোন কৃষক ক্রয় করে তাহলে তাকে ৫০শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে র্অথাৎ ৩,৬০,০০০হাজার টাকা দিয়ে নিতে পারবে। কৃষক যদি প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাহলে আর শ্রমকি সংকট বা অন্য কোন সমস্যা থাকবে না। পাশাপাশি কৃষকদরে যে কোনো সাহায্য সহযোগিতার জন্য আমরা পাশে আছি। এমএম/ Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: কৃষকধান