চুয়াডাঙ্গায় চলছে নিয়মবর্হিভুত কোচিং বানিজ্য; নিরব ভুমিকায় প্রশাসন

প্রকাশিত: ১১:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯

ঐশ্বর্য সাহা, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে প্রায় সব স্থানে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য। নিয়মবর্হিভূত এ কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা থাকলেও এ প্রশাসন দর্শকের ভূমিকায় চুপচাপ।

এমন অবস্থতা হলে শহর বা গ্রামের স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয় বলে মনে করেন সচেতন মহল। গত ২রা ফেব্রুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরিক্ষার কারণে সারা বাংলাদেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ ঘোষনা করে শিক্ষা মন্ত্রানয়ল।

পরীক্ষা শেষ না পর্যন্ত কোন ক্রমে চলবে না কোচিং সেন্টার এমন নির্দেশ দেন শিক্ষামুন্ত্রী ড.দিপু মনি। এমন নির্দেশ থাকলেও স্থানীয় শিক্ষক বা শিক্ষিকারা কৌশল পাল্টিয়ে চালাচ্ছে তার কোচিং বাণিজ্য।

কিন্তু এ আদেশের উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গার শহরতলী প্রায় সব কোচিং সেন্টারসহ ভালাইপুর মোড় সংলগ্ন কোচিং সেন্টার ,রামনাগর বাজার সংলগ্ন কোচিং সেন্টার এবং দামুড়হুদা উপজেলার প্রায় সকল কোচিং সেন্টার কৌশল পাল্টিয়ে নিরদিধায় চালাচ্ছে এ কোচিং ব্যানিজ্য ।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় এক’শটির মত কোচিং সেন্টার থাকলেও অর্ধেকের বেশি বিভিন্ন কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে পড়ানোর কার্যক্রম । চুয়াডাঙ্গা জেলা ঘুড়ে চোখে পড়েছে এমন কয়েক কোচিং সেন্টার হলেও চুয়াডাঙ্গা সদরের ভালাইপুর মোড়ে অবস্থিত সব কোচিং সেন্টার,দামুড়হুদার রামনানগর বাজারে সংল্গন কোচিং সেন্টারসহ উপজেলা পর্যায়ে প্রায় প্রতিটি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের আশপাশ অবস্থিত কোচিং সেন্টারগুলো চলছে অবাধে। যেনো দেখার কেউ নেই।

কোচিং সেন্টার নীতিমালা ব্যস্তবায়ন করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করলেও সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে কোচিং বাণিজ্য দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং সেন্টারে মাস্টারগণ।

অসংখ্য অভিভাবক ও শিক্ষার্থী অকপটে স্বীকার করেছেন যে ,কিছু কিছু স্কুলগুলিতে লেখাপড়ার তেমন হয় না বলেই চলে। তাই অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের শুধু স্কুলে ভর্তি পর কোচিং সেন্টারগুলো প্রতি ভরসা করে বেশি অভিভাবকরা।

আসলে তারা সন্তাদের পড়াচ্ছেন প্রাইভেট বা কোচিং সেন্টারে মাধ্যমে । সরকারি ও বেসরকারী স্কুলের অনেক শিক্ষক বেতন নিচ্ছেন সরকারের। আর মন দিয়ে পড়াচ্ছেন কোচিং সেন্টারে এসে।

/আরএ

Comments