কলারোয়ায় ‘ছেলেধরা’ গুজবের শিকার রঞ্জিলা বেগম

প্রকাশিত: ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০১৯

রেদওয়ানুল ফেরদৌস রনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে ছেলেধরা গুজবের বেড়াজালে পড়ে তিন সন্তানের জননী নাথপুর গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রঞ্জিলা বেগম (৪৫) নির্যাতনে শিকার হয়েছেন।

১৩ মে সোমবার দুপুর ১ টার সময় চান্দুড়িয়া টু কলারোয়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতা একজন মানষিক রোগী বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলে,  চন্দনপুর ইটের ভাটার সামনে পৌঁছলে মোঃ তুহিন (১২) রনজিলা কে গলাকাটা বলে বিরক্ত করে। এসময় রনজিলা বেগম তুহিনকে গলা কাটার হুমকি দেয়। তুহিনও গলাকাটা বলে চিংকার করলে আশপাশের মহিলারা এসে তাকে আটক করে। রুহুল কুদ্দুসের গোয়াল ঘরে নিয়ে তাকে চেক করা হয় এবং কিছু না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে হান্নানের মোড়ে যাবার পর ছেলেধরা রোহিঙ্গা নারী আটকের গুজবে গ্রাম পর্যায়ের পৌছালে গ্রামের বিভিন্ন দিক থেকে আসা নারী পুরুষ মিলে তাকে মারধর করে।

কলারোয়া থানার পুৃলিশকে অবহিত করলে, ঘটনা স্থালে কলারোয়া থানার এস,আই,রইচ উদ্দিন, এ,এস,আই আলাউদ্দীন পৌছান, পুলিশ রনজিলা কে নিয়ে মাওলামা আব্দুল মালেকের হাতে হস্তন্তর করেন।

এস আই রুইচ উদ্দীন এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য করে বলেন, বাচ্চা ধরার কোন বস্তুনিষ্ঠ তথ্য নেই। এটা একটি গুজব এবং আইন হাতে তুলে নেওয়া ব্যক্তিদের কে কঠর হুসিয়ারি দেন এবং এ কাজে যারা জড়িতে আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এস আই রুইচ আরো বলেন, কলারোয়া থানার পুলিশ এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। আপনারা গুজবে কান দিবেন না, কলারোয়া থানার পুলিশ এ ব্যাপারে শতভাগ সতর্ক আছে।

এমএম/

Comments