চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য নগরী করা হচ্ছে: চসিক মেয়র

প্রকাশিত: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প উদ্বোধন

ইমরান হোসাইন, বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম নগরের আলকরণে ওয়ার্ডে ঢোকার পথেই চোখে পড়তো ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। ডাস্টবিনের উপচে পড়া ময়লার দুর্গন্ধে পথচলাই ছিল দায়। কিন্তু এ অবস্থা এখন আর নেই।

দিন পাল্টেছে সবুজায়নের মাধ্যমে। নগরী সৌন্দর্যবর্ধন ধারাবাহিকতায় আলোকরণের ‘আপদ’ ডাস্টবিনটির জায়গায় এখন স্থান করে নিয়েছে নয়নাভিরাম এক ফুলের বাগান।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা বাসত্মবায়ন করেছে স্ক্রিপ্ট ও আদিওস ইঙ্ক। উদ্বোধনকালে কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম, হাসান মুরাদ বিপস্নব, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, নীলু নাগ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান নগর পরিপরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, স্ক্রীপ্ট এর এনামুল হাসান, আরিফুল হাসান, সোহান মাসুদ, আদিওস ইঙ্ক ও শামীম করপোরেশনের পক্ষে মো. আহাদ ও মো. মেহাম্মদ ইসমাইল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়রের ভিশন ক্লিন ও গ্রিন সিটির বাসত্মবায়নের লক্ষ্যে নগরীর সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ সড়ক নিউ মার্কেট থেকে আমতলা, জিপিও, রেলওয়ে স্টেশন এবং সিটি কলেজ সড়কের সৌন্দর্যবর্ধন ও সবুজায়নের কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে স্ক্রিপ্ট ও আদিওস ইঙ্ক নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের।

তারই ধারাবাহিকতায় আলকরণ চত্বরকে দৃষ্টি নান্দনিক রূপ দান করা হয়েছে। এই সৌন্দর্যবর্ধনে প্রকল্পের সবুজায়নের আওতায় নান্দনিক স্থাপত্যের পাশাপাশি রয়েছে গাছপালা ও নানা রকম বাহারী ফুলের বাগান। রয়েছে আলোকায়নের ব্যবস্থা।

উদ্বোধনকালে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, সবুজায়নের আওতায় পুরো চট্টগ্রাম নগরীকে ফুল গাছ ও বৃড়্গরোপণের মাধ্যমে সাজানো হবে। নগরীকে গ্রিন ও ক্লিন সিটিতে পরিণত করতে নগরীর যে সকল গুরম্নত্বপূর্ণ মোড়ে ময়লা আবর্জনার সত্মূপ ও ভবঘুরদের উৎপাত ছিল সেগুলোকে পর্যায়ক্রমে নাগরিক উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নগরীর বেশ কয়েকটি মোড়ে এই সৌন্দর্যবর্ধন কাজের সফল সমাপ্তি আমরা করেছি। ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে নগরীর সৌন্দর্য। এরই অংশ হিসেবে আলকরণ মোড়ের এই সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। এই ধরনের উদ্যোগের ফলে নগরীর ফুটপাত, আইল্যান্ডগুলো পরিবেশ বান্ধব, নগরবাসী ও পথচারীদের চলাচল উপযোগী হয়ে উঠবে।

মেয়র বলেন, এ ধরনের স্থানগুলোতে নগরবাসী চাইলে যান্ত্রিক জীবনের বাইরে গিয়ে একটু বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য নির্মল পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারবেন। মেয়র সৌন্দর্যবর্ধন করা এই স্পটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

/এসএস

Comments