ব্রিজ নির্মাণের ১৮ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, দূর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০১৯

আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাতপুর উপজেলার চরনরিনা-নওকৈর ডিগ্রিরচর গ্রামে খালের উপর  ব্রিজ নির্মিত হয়েছে আঠারো বছর। কিন্তু এতো বছর হলেও এখনো পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি ব্রিজটির দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কারণ।

এই সংযোগ সড়কে চলাচল করেন নরিনা, চরনরিনা, টেপরী, চরটেপরী, বারইটেপরী, পুনারটেপরী, নবীপুর, বওশাগাড়ি, সাতবাড়িয়া, আগনুকালি, জয়রামপুর, চিলাপাড়া, ডিগ্রিরচর, কালিপুর, চরনবীপুর, নওকৈর ও রাজপুর গ্রামের মানুষ। এছাড়া তাদের সঙ্গে চলাচল করেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী।

ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট। পুরান টেপরী গ্রামের মোঃ বাবুল বলেন, ২০০০ সালে উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ব্রিজটি নির্মাণ করে। এই নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয় প্রায় ৩৬ লাক্ষ টাকা। কিন্তু আঠারো বছরে নির্মাণ হয়নি কোনো সংযোগ সড়ক। এ কারণে ব্রিজটি এখন পরিত্যাক্ত।

এরই মধ্যেই সেতুটির রেলিং ভেঙে পড়েছে। অনেক স্থানের খোয়া বালু খসে পড়েছে। শেওলা ও জঙ্গলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। ১৭ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

চর নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো . আব্দুস সেলিম বলেন, চর নরিনা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নরিনা হাইস্কুল, সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ, সাতবাড়িয়া কারিগরি কলেজ, চর নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিদিন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়ছে।

চর নরিনা বাজার, নরিনা বাজার, সাতবাড়িয়া বাজার ও তালগাছি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিদিন ও সপ্তাহের দুইদিন যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

শুকনো মৌসুমে ব্রিজের নিচের অংশ শুকিয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে ও অনেক কষ্ট করে নৌকায় পারাপার করতে হয়। এতে খরচ ও সময় দুটোই অপচয় হয়।

গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী সেশনে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পর শ্রমিক দিয়ে সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি করে দেয়া হবে। এতে যদি না হয়, তবে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শাহজাদপুরের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান বলেন, এলাকাবাসী এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

/আরএ

Comments