বগুড়ায় স্বপ্নছোঁয়া লটারির ছোবলে নিঃস্ব প্রায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলো

প্রকাশিত: ১১:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০১৯

বগুড়া প্রতিনিধি: কি মামা খুশিতো। মাথাই নষ্ট মামা। যদি লাইগা যায়। এরকম হাজারও কথার ফুলঝুড়ি। মুহূর্তেই গলে যায় মানুষের মন। বিশেষ করে গ্রামের সহজ সরল গরিব মানুষেরা এইসব লটারীর ফাঁদে পা দিয়ে দিন দিন নিঃস্ব হতে বসেছে।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের পাশেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়ামে জমে উঠেছে অবৈধ লটারি বাণিজ্য। লটারীর নাম ‘স্বপ্নছোঁয়া’ আসলে স্বপ্ন ছোঁয়ার কথা বলে স্বপ্ন ভাঙ্গছে বগুড়া তথা আশেপাশের কয়েক উপজেলার হাজারও মানুষের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহরসহ আশেপাশের প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্তগ্রামে সিএনজি, ব্যাটারি চালিত রিকশায়, স্কুল, কলেজ, রাস্তা- ঘাট রাস্তার বিভিন্ন মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাগ্য যাচাইয়ের নামে হাজার হাজার টিকিট বিক্রি করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। মূলত সকল নৈতিকতার পরিপন্থি বিবেক বর্জিত মানসিকতায় লালিত একটি স্বার্থান্বেষী মহল শুধুমাত্র আর্থিকভাবে লাভের আশায় প্রকাশ্য দিবালোকে দেদারছে চালচ্ছে জুয়া, হাউজি, র‌্যাফেল ড্র মত লটারি।

আইনি অনুমোদন না থাকলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে চিহ্নিত এই চক্রটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে ব্যবহার করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে, নিঃস্ব হচ্ছে বগুড়ার জনসাধারণ। লোভনীয় আর চাটুকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লটারি টিকিট বিক্রির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

লটারির টিকেট কেটে নিঃস্ব পরিবারের এক সদস্য জানান, আমি প্রথমে ১টা লটারির টিকেট কাটি। ধীরে ধীরে মনে খুব লোভ কাজ করছিলো। তাই যেখান থেকে টাকা পেতাম সেখান থেকেই টাকা সংগ্রহ করেই লটারি টিকিট কিনতাম। এলাকার বিভিন্ন সমিতি থেকে লোন নিয়ে লোনের টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনি, ভাগ্য যাচাইয়ের আশায়। মাঝে মাঝে বাবার পকেট থেকেও চুরি করতাম টাকা। আমার পরিবার নিঃস্ব হওয়ার পথে। এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। যার কারনে গত ১ মাসে হঠাৎ করেই বগুড়ায় বেড়েছে চুরি, ছিনতাই।

বগুড়ায় অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মেলাটি পরিচালনা করছে দুটি প্রতিষ্ঠান। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অপরটি মেসার্স শুকরা এন্টারপ্রাইহ। এ বিষয়ে মেসার্স শুকরা এন্টারপ্রাইজের পরিচালক আব্দুল মান্নান আকন্দ জানান, মেলার খরচ চালানোর জন্য লটারির টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

/আরএ

Comments