বগুড়ার শেরপুরে বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০১৯

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া শেরপুরের পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর আওতায় ইউসিসিএ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ সভায় নিয়োগ স্থগিতের নির্দেশ উপেক্ষা করে পরিদর্শক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে নিয়োগ বন্ধে পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ইউসিসিএ এর সমবায়ী ম্যানেজারবৃন্দ।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শেরপুর উপজেলার পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর অধীনে ইউসিসিএ এর বিগত ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ সাধারণ সভায় ২জন পরিদর্শক নিয়োগের বিষয় চুড়ান্ত অনুমোদন করেন সমবায়ী ম্যানেজাররা।

ওই নিয়োগ নিয়ে ইউসিসিএ লিঃ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিলে গোপনে মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া ফাঁস হলে সমবায়ীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

ফলে সমবায়ী ম্যানেজাররা পুনরায় ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর বিশেষ সাধারণ সভায় ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে নিয়োগের অর্থ বাজেট বন্ধ করে দেয়।

বিগত ৩ বছরে ৩জন পরিদর্শক অবসর গ্রহনে ৩৬ লাখ এবং ৪জন বর্তমানে কর্মরত পরিদর্শক থাকায় তাদের বেতন ভাতা প্রদান ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে ইউসিসিএ লিঃ। তাই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমবায়ীরা।

অথচ সমবায়ীদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইউসিসিএ লিঃ এর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তড়িঘড়ি করে পরিদর্শক পদে নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে ৫/৬জন প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই পরিদর্শক পদে নিয়োগ স্থগিতের জন্য বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড এর মহাপরিচালক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ১৬জন সমবায়ী।

এ বিষয়ে সমবায়ী আব্দুর রশিদ জানান, ইউসিসিএ লিঃ এর চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তা আমার মাধ্যমে পিয়ন পদে ইমরান হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নিয়োগ না দেওয়ায় টাকা ফেরত দিয়েছে।

তবে পরিদর্শক পদে উপজেলার খানপুরের দহপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে রেজাউলের কাছ থেকে ১৪লাখ টাকা ঘুষ নিলে চাকুরী না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে মারপিট করার হুমকী দেয় বলে অভিযোগ রেজাউলের।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, নিয়োগ নিয়ে যে কথাটি উঠেছে তা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।

/আরএ

Comments