বান্দরবানে বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে চলেছে জমজমাট কেনাকাটা

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৯

নুসিং থোয়াই মারমা, বান্দরবান প্রতিনিধি: হাতের সময় কম। ক’দিন পরেই পাহাড়িদের সাংগ্রাই/বৈসাবি উৎসব। এর মধ্যে খুঁজে নিতে হবে পছন্দের পোশাকটি। ক্রেতারাও অনেকটা আদাজল খেয়ে নেমেছেন। অনেকে আবার মনের মতো পোশাক বানাতে দৌঁড়ছে দরজি বাড়ি। সেখানেও শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা।

সরেজমিনে বান্দরবান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তৈরি পোশাক মাঝবয়সী নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকায় বার্মিস কাপড় দোকানে পাহাড়ি মাঝবয়সীদের ভীড় বেশি।

এরমধ্যে সেলাই করা থ্রিপিস চৌধুরী মার্কেটের পাওয়া যাচ্ছে ৯৭৫ থেকে ১৩৫০ টাকার মধ্যে। সেলাইবিহীন সুতি থ্রিপিসের দাম ৫৪৫ থেকে ২৯৮০ টাকায়। এছাড়া জমকালো রঙ্গিন কাজ করা থ্রিপিসের দাম ১৯৭৯ টাকার ওপরে।

সাংগ্রাই অথাৎ বৈসাবি কেনাকাটার বাজারে সুতি, লিলেন, সিল্ক, জর্জেট, কাতান ও নেট কাপড়ের বিক্রিও ভালো চলছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। এসব কাপড় প্রতিগজ ৬৭ টাকা থেকে ১২২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

বান্দরবান বাজারে একদল মারমা তরুণী একুশনিউজ২৪ ডটকম প্রতিবেদককে জানান, তারা ১৩ জন বান্ধবি মিলে এবারে সাংগ্রাই উৎসবের একই ডিজাইনের নেটের গজ কাপড় কিনে থামি সেলাই করার কথা। মারমা তরণীরা আরো জানায়, পছন্দের থামিং কাপড় কিনতে দেড় ঘন্টা সময় লেগেছে তাদের।

বান্দরবানে মধ্যম পাড়া এলাকায় সততা টেইলার্সের মংথোয়াই রাখাইন বলেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবধি ৭জন কর্মী মিলে সেলাই করছি। সেলাইয়ের ধরন ও সময় বুজে একটু বাড়তি দামও নিচ্ছি।

সুয়ালক পাড়ার পিপিসাইন মারমা (২৮) বলেন, কাপড় পছন্দের হলেও দাম চড়া হওয়ায় কাপড় কিনতে হিমসিম খাচ্ছি। এক মাস আগেও দোকানগুলিতে এই চড়া দাম ছিলো না বলেও তার দাবি।

এদিকে পাল্টা জবাব নিয়ে দোকানিরা জানান, পাহাড়ে পরিস্থিতি কারণে ভেবেছিলাম বেচা- বিক্রি হবে না। সে জন্য মালামালও তেমন নিয়ে আসিনি। তবে ইদানীং কয়েকদিন ধরে লোকজন বাজারে আসা শুরু করেছে। বেচা বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো।

দেখা যাচ্ছে থ্রিপিসের থেকে থামিং কাপড়ে চাহিদে বেশি। শাড়িও বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি। শুধু পাহাড়িরা কেনাকাটা করছেন তা না, বলতে পারেন পাহাড়ে বসবাসরত বাঙ্গালিরাও কেনাকাটা করছেন।

/আরএ

Comments