বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে: এমপি জিল্লুল

প্রকাশিত: ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯

অনিক সিকদার, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খিষ্ট্রান সবাই ভাই ভাই হিসাবে আরো সম্প্রীতির সাথে বসবাস করবে। তিনি বলেন সম্প্রতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা আমাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি একাদশ গ্রাম সম্মিলিত মহাশ্মশান প্রাঙ্গনে প্রেম ভক্তি, আত্মশুদ্ধি, দেশ জাতি ও বিশ্ব জননীর সকল সন্তানের মঙ্গল কামনায় ৪র্থ বার্ষিক শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ী ২ আসনের সংসদ সদস্য ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লল হাকিম এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সকল ধর্মের সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। তারই ফলশ্রুতিতে আপনাদের এখানে উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে। আগামীতে আরো উন্নয়ন কর্মকার্ন্ড করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বর্তমান সরকারের প্রধানের নির্দেশ রয়েছে বাংলাদেশের সকল ধর্মীয় অনুসারীরা তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এবং সরকার সহায়তা করবে।

মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি সুজিত কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নন্দ গোপাল সাহার পরিচালনায় রাধাকৃষ্ণের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন অনুষ্ঠানে বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য আঃ সাত্তার খান, সহ সভাপতি ও বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নায়েব আলী শেখ, সাধারন সম্পাদক সামছুল আলম সূফি মিয়া, যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক একেম ফরিদ হোসেন বাবু, এহসানুল হাকিম সাধন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন, সনজিৎ রায়, বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম, বালিয়াকান্দি কেন্দ্রীয় মন্দির ও মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রঘুনন্দন সিকদার, সাধারন সম্পাদক পিযুষ কুমার কর, বহরপুর বনিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

লীলা কীর্তন পরিবেশন করেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শ্রীমতি চন্দনা রায়, শ্রী গৌর সুন্দর চক্রবর্তী ও ছোট রাধা রানী। উল্লেখ্যঃ ৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার শ্রীশ্রী গীতা পাঠ ও শ্রীমদ্ভাগবত আলোচনার মধ্যে দিয়ে শুভ অধিবাস শুরু হয়ে শনিবার মহাপ্রভুর ভোগরাগ ও প্রসাদ বিতরনের মধ্যে দিয়ে ৩ দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠান শেষ হবে।

/আরএ

Comments