বাঘারপাড়ায় সাংবাদিক চন্দন দাসের উপর হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের সংবাদ বর্জন

প্রকাশিত: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০১৯

বাঘারপাড়া প্রতিনিধি: বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দৈনিক কালের কন্ঠের বাঘারপাড়া প্রতিনিধি ও দৈনিক গ্রামের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার চন্দন দাসের উপর হামলার প্রতিবাদে বাঘারপাড়া আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ইতিবাচক সকল সংবাদ বয়কট করা হয়েছে।

গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার বিকালে বাঘারপাড়া প্রেক্লাবের পৃথক দুটি জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে হামলার স্বীকার বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাসসহ উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি খান কেএম শরাফত উদ্দীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদুজ্জামান, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ তরুন মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহাজাহান সাজু, সিনিয়র সাংবাদিক আঁজম আলী খান, সঞ্জিব গাইন, মঞ্জুর মুর্শিদ, রেহমান জেমাম বাবু, আওয়াল হোসেন, শামীম রেজা, অনুপম দে, প্রদীপ বিশ্বাস, রাকিব হোসেন, আহাদ আলী, নূর হাসান লাল্টু, আশিষ বিশ্বাস, শান্ত দেবনাথ প্রমুখ।

সোমবার দুপুরে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিক নেতা চন্দন দাসের উপর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান লিটন ও তার কয়েক সহযোগি অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ঐ কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনা জানারপর তারা আশা করেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন। বেশ কয়েক ঘন্টা অতিবাহিত হলেও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রেসক্লাবে জরুরী সভা ডাকা হয়।

সভায় এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও হামলাকারিদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানানো হয়। একই সাথে বাঘারপাড়া আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ইতিবাচক সকল সংবাদ বয়কট করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় হামলার স্বীকার সাংবাদিক নেতা চন্দন দাস জানান, বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রণজিৎ কুমার রায়কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে চন্দন দাসকে আশ্বস্ত করেন। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ফের প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার বিকালে জরুরী সভা ডাকা হয়।

সভায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের কোনো নেতা কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে সে অনুষ্ঠান বর্জন করা হবে। উল্লেখ্য হামলাকারি কামরুজ্জামান লিটন ও তার সহযোগিরা সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়ের অনুসারি।

/আরএ

Comments