বরিশালের বাবুগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী দূর্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ঢল

প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৯

রুবেল সরদার, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগরে শুরু হয়েছে স্নানোৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম পুণ্যস্থান পাপ মুক্তির কামনায় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে এ উৎসবে হাজারো পুণ্যার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মাধবপাশার দূর্গাসাগর পাড়ের এলাকা।

চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে এই দুর্গা সাগরে গোসল করে পাপ থেকে মুক্তি লাভের আশায় প্রতি বছরই বিভিন্ন স্থান থেকে হিন্দু ধর্মালম্বীরা এখানে আসেন।
হিন্দু পুণ্যার্থীরা গঙ্গাদেবীর পূজা-অর্চনা ও প্রার্থনাসহ নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পাপমুক্তির বাসনায় স্নান সমাপ্ত করে। আর এ উৎসব মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।

প্রায় দুই শতাব্দী ধরে চলে আসা জগতের যাবতীয় সংকীর্ণতা ও পঙ্কিলতার আবর্তে ঘেরা জীবন থেকে পাপমুক্তির বাসনায় হিন্দু পূণ্যার্থীদের দূর্গা সাগরে স্নান উৎসবে যোগ দিয়ে থাকেন। এ উৎসবকে ঘিরে পুরো এলাকাজুড়ে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়।

পাশাপাশি সাগর পাড়ের বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে গ্রামীণ মেলার। যেখানে মুড়ি-মুড়কি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেও ভিড় করেছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা।

১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রদীপ পরগনার তৎকালীন রাজা শীবনারায়ণ এলাকাবাসীর পানির সংকট নিরসনে স্ত্রী দুর্গারানীর নামানুসারে দুর্গাসাগর দীঘি খনন করেন। যা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো খনন করা হয়।

৪৫.৫৫ একর জমির মধ্যে দ্বীপসহ জলভাগের পরিমাণ ২৭.৩৮ একর এবং স্থলভাগের পরিমাণ ১৮.০৪ একর। দীঘির চারপাশে ও মাঝের দ্বীপটিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, ঔষধি ও বনজ বৃক্ষ রয়েছে। এছারা দীঘির চারপাশ দিয়ে ১.৬ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে রয়েছে। তিনঘাট ও মধ্যখানে দ্বীপবিশিষ্ট এ দীঘির সর্বোশেষ ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সংস্কার করা হয়।

/আরএ

Comments