সাংবাদিক শুনেই ক্ষেপে উঠলেন এএসআই শ্রী প্রদীপ বর্ধণ নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০১৯ ‘এখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন? আপনি কি করেন? কার্ড দেখান। অহ এই কার্ড! সাংবাদিক! হু, এসব কোনো পত্রিকা হলো! এসব পত্রিকা মানুষ পড়ে?’ সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর এভাবেই ক্ষেপে উঠলেন হাতিরঝিল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শ্রী প্রদীপ বর্ধণ। শনিবার বিকাল সোয়া তিনটার দিকে রামপুরা ব্রিজের পশ্চিম পাশের ঢালে মন্দিরের সামনের ফুটপাতে এভাবেই ‘দৈনিক সময়ের আলো’র অপরাধ প্রতিবেদক মোস্তফা ইমরুল কায়েসকে হেনস্তা করেন প্রদীপ বর্ধণ। এছাড়া তিনি ওই সাংবাদিককে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেন। এএসআই প্রদীপের ভাষ্যমতে, দেশে সকল অবদান শুধু তার ও পুলিশ বাহিনীর। অন্যরা দেশের জন্য কোনো ধরনের অবদান রাখেন না। ভুক্তভোগী ইমরুল কায়েস জানান, বিকালে মিটিং থাকায় তিনি অফিসে যাওয়ার জন্য বের হন। রামপুরা ব্রিজের পশ্চিম ঢালের নিচে মন্দিরের সামনের ফুটপাতে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তার পাশেই বসেছিলেন তিন পুলিশ সদস্য। এক পুলিশ সদস্য তাকে বলেন, আপনি এখানে দাঁড়াইছেন কেন? ওই তিনি পুলিশকে বলেন, সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছি। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এএসআই প্রদীপ বর্ধণ ওঠে গিয়ে হাত ধরে টান মারেন। বলতে থাকেন, এইদিকে আসেন, আপনি কি করেন? প্রথমে ছাত্র বলায় তিনি বলেন, দেশের জন্য তো আপনাদের কোনো ধরনের অবদান নাই। সবটাই আমাদের করতে হয়। আপনাদের নিরাপত্তাও আমাদের দিতে হয়। ইমরুল কায়েস বলেন, “এএসআইয়ের এমন কথা শুনে আমি প্রতিবাদ করি। বলি, শুধু আপনারাই দেশের জন্য সব করেন, আর আমাদের মত আমজনতার কোনো অবদান নাই? সবার অবদানেই আজকের এই বাংলাদেশ। আমার কথা শুনে এএসআই প্রদীপ ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘আপনি কি করেন? পরে সাংবাদিকের কার্ড দেখার পর তিনি তাচ্ছিল্য করেন। বলেন, ‘এই পত্রিকা কেউ পড়ে? বাজারে কেউ চিনে এই পত্রিকা? আজ জানেন কি দিন? কেন আপনি এখানে দাঁড়াবেন? আপনি তো কিছুই জানেন না।’ পরে অফিস যেতে চাইলে এএসআই তাকে ছেড়ে না দিয়ে থানায় নেওয়ার হুমকি দেন। পরে তর্কে না জড়িয়ে সেখান থেকে চলে যান তিনি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এএসআই প্রদীপের নাম্বারে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগ করা হলে হাতিরঝিল থানার ওসি আবু মো. আবদুর রশিদ বলেন, ‘তাকে (সাংবাদিক) অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তার (এএসআই প্রদীপ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এএ/ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: