স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর কাজের পরিধি কতটুকু? নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮ শাহনূর শাহীন: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ইসি সচিব জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিন সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। ২৪ ডিসেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন। এ লক্ষ্যে ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবেশ পরিস্থিতির প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহে প্রতি জেলায় ছোট আকারে সশস্ত্র বাহিনীর টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে ইসির পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকছে না। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগি হিসেবে কাজ করবে। যদিও বিএনপি, জাতীয় ঐক্য্যফ্রন্ট ও সরকারি দল ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমূহের দাবি ছিলো বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করার। প্রত্যেক এলাকায় ব্যাটালিয়ন অনুসারে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী দায়িত্বপালন করবে। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী কাউকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারবে না। সেনাবাহিনীর কাজের পরিধি: নির্বাচনের আগে পরে মিলিয়ে সেনাবাহিনীর কার্যপরিধি ইসির পরিপত্র অনুযায়ী তুলে ধরা হলো: বৃহস্পতিবারের আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপিত কার্যপত্রে বলা হয়েছে- প্রতি জেলা/উপজেলা/মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করবে রিটার্নিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদা ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনাকক্ষে কোনো প্রকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার এবং সংশ্লিষ্ট ও বিধি অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। উপকূলীয় এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নৌবাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতি জেলায় নিয়োজিত রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে কম-বেশি করা যাবে। সেনা সদরের বিবেচনায় প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা সদস্য রিজার্ভ হিসেবে মোতায়েন থাকবে। সড়ক/মহাসড়কে নিরাপদ যান চলাচল ও স্বাভাবিক আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবে। বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহনে সহয়তা করবে। ইভিএম ব্যবহার হবে যে ৬টি নির্বাচনী এলাকায় কারিগরি সহায়তায় (অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছাড়া) তাতে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবে। ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত নিরাপত্তা বিধানে নিবিড় ও গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। জানা যায়, ২০০১ সালের আগে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত কোনো বিধান আরপিওতে ছিলো না। তারপরও ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও জেলা/থানা/উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়। ২০০১ সালের এক অধ্যাদেশে নির্বাচনে ‘ল’ এনফোর্সিং এজেন্সির’ সংজ্ঞায় ‘ডিফেন্স সার্ভিস’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে তা বাদ দেওয়া হয়। /আরএ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: shahnur shaheenশাহনূর শাহীনসেনাবাহিনীস্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর কাজের পরিধি কতটুকু?