রায়পুরে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী যৌন হয়রানি!

প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০১৯

লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা:
ফেনীর পর এবার লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী এবং যুগান্তর পএিকার রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি তাবারক হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাএীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির স্বীকারোক্তি (যৌন নিপীড়নের ভিডিও) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার কারণে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে।

অনতিবিলম্বে অভিযুক্ত তাবারক হোসেন আজাদের দ্রুত অপসারণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতের মতো পরিণতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ওই স্কুলের অভিভাবকরা।

এদিকে ওই স্কুলের ভুক্তভোগী কয়েকজন ছাত্রী অভিযোগ করে জানান, তাবারক হোসেন আজাদ স্যার তাদের স্কুলে অফিস সহকারী হলেও মাঝে মধ্যে তাদের ক্লাস নিতেন।

এ ছাড়া ওই শিক্ষক ক্লাসে তাদের নানাভাবে যৌন হয়রানি করতেন। এবং তার প্রস্তাবে রাজি না হলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি প্রদান করতেন।

এদিকে পরীক্ষা আসলে এ অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে হয়েছে তাদের। এ কারণে বিষয়টি চেপে রেখেছে তারা। এরপর দু’দিন আগে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে ধরে যৌন হয়রানি করা হয় বলেও ভুক্তভোগী কয়েকজন ছাএী জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে স্কুলের ১০ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অভিযুক্ত তাবারক হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিতভাবে অভিযোগ করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির নিকট।

সেই সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক তাবারক হোসেন আজাদকে অপসারণ ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ১৬ এপ্রিল তাদের প্রধান শিক্ষকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছি। এ ঘটনায় আজাদ স্যারের কুকৃত্তি একে একে সবাই জানার পরেও এখন পর্যন্ত সঠিক বিচার পাইনি।

এরই মধ্যে বিষয়টি যাতে আর কাউকে না জানাই এ জন্য আজাদ স্যার তার বাবাকে পাঠিয়েছেন তাদের বাড়ীতে। তিনি মা মা ডেকেই বিষয়টি চেপে যেতে বলেছেন। আর তার ছেলের ক্ষতি হলে বিষয়টি দেখে নিবেন বলেছেন। এ কারণে নিরাপত্তা ও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে এ শিক্ষার্থীকে।

অভিযোগের বিষয়ে জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তাবারক হোসেন আজাদ জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে ছাত্রীর বাবা সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় অনেক আগে। এ কথা শুনে ওই স্কুল ছাত্রীকে স্নেহে জড়িয়ে ধরি। এছাড়া যৌন হয়রানির কিছুই করা হয়নি।

তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনার কারণে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল চার বিয়ে ও তিন বিয়ে করার কথা প্রবাহকান্ড ছড়াচ্ছেন। আসলে এসবই ষড়যন্ত্র বলে তিনি জানিয়েছেন।

উপজেলার জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, যা শুনেছেন তা সঠিক। তাকে নিয়ে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কারণে সবাই সবকিছু জেনে গেছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৬ এপ্রিল শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে পরে তা- তদন্ত হলে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে অভিযুক্ত অফিস সহকারী শিক্ষক তাবারক হোসেন আজাদকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রদান করি। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

এরপর ইউএনও স্যার বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য :তাবারক হোসেন আজাদ যুগান্তরে সাংবাদিকতার পূর্বেও সেতারা বোর্ডিংএ এক গৃহবধুকে জোর করলে তখনো মামলা খেয়ে জেলখাটে।এরপর জামিনে এসে জেলার কিছু সাংবাদিকদের তারপক্ষে সইসাক্ষর নিয়ে স্থায়ী মুক্তি পায়।তবে সে মারাক্তক নারীলোভী বলে স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষক ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষজন জানিয়েছে।সাংবাদিকতা করলেও আদতে আজাদকে চাঁদাবাজ বলেই সবাই চিনে।সে জনসাধারনকে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।ড্রাগ আসক্ত সাংবাদিক আজাদ নামে বেনামে নিউজ তৈরী করে বিভিন্ন দপ্তর থেকে মোটা অংকের টাকা হাতায় বলেও জানা গেছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীরা অভিযোগ করে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।লাগাতার বিভিন্ন মানুষের কৌশলগত হুমকিধমকিতে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না বলে জানা গেছে। তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি চেয়েছেন।

বিআইজে/

Comments