রাজশাহীর ৬টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্ম বিরতি

প্রকাশিত: ৫:১৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৮

মোঃ শামসুল আলম, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী সদর নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বকেয়া বেতনের দাবিতে ১৪তম দিনের মতো চলছে কর্মবিরতি। ভোগান্তিতে পড়ছে সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পঞ্চবটি, কাজলা,ডাশমারী, বুধপাড়া, মেহেরচন্ডী ও টিকাপাড়াসহ মোট ৬টি কেন্দ্রে ১২০ জন কর্মরত কমচারী ৯মাসের বকেয়া বেতনের দাবীতে আজ সোমবার ১৪ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে।

রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল ৬ টা থেকে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনির্দিষ্টকালের কর্ম বিরতির পালন করে আসছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারী সুত্র মতে, নগরীর টিকাপাড়ায় অবস্থিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিনে আরো ৬টি কেন্দ্রে ১২০ জন চুক্তিভিক্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। ওই কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত জানুয়ারি থেকে তাদের নয় মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।

তাদের বেতন না পেয়ে জীবন থমকে গেছে বলে যানান ভুক্ত ভোগি বেলাল উদ্দিন। আরেক কর্মচারী আলমগীর মজিদ বলেন আমরা বেতন না পেয়ে মানুষের কাছে ধারদেনা করেছি এ অবস্থায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে বেতন দিতে না পেরে। পাওনাদার বাসায় আসছে টাকা চাইতে। অদৃশ্য কোন কারনে তাদের বেতন পরিশোধ না করায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কয়েক মাস বেতন না পেয়ে ম্যানেজমেন্টের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কর্মসূচী গ্রহণ করছে।

কর্মবিরতি কর্মসূচীতে বক্তারা বকেয়া বেতন প্রদানসহ প্রতি মাসে’র বেতন ১-৫ তারিখের মধ্যে পরিশোধের দাবী জানান। বেতন চাইলে নগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ চাকরীচ্যুতির হুমকি দেয় বলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ করেন। কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন আলমগীর মজিদ, শামসুর রহমান, কানু মিয়া, বজলু রহমান, শরীফ, একরাম প্রমুখ।

শ্রম আইন লংঘন করে কোন স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ না দিয়ে চুক্তি ভিক্তিক নিয়োগ দিয়ে কম বেতনে কাজ করাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। আমরা স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ চাই। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হবে। চিকিৎসা নিতে আসা প্রসূতি নারী আমেনা বেগম জানান আমাকে ডাক্তার প্রতি সপ্তাহে একবার করে চেকআপে আসতে বলেছে কিন্তু কর্মবিরতির কারনে গতসপ্তাহে একবার ঘুরে গেছি এ সপ্তাহে আবার এসে একই অবস্থা ঘুরে যেতে হচ্ছে।

চিকিৎসা নিতে আসা আর একজন শেলিনা রহমান বলেন আমি ডাইবেটিস ও প্রেসার দেখতে এসেছিলাম কর্মবিরতির কারনে ঘুরে যাচ্ছি । তিনি আরো বলেন, আমার মতো অনেকেই চিকিৎসা নিতে এসে ঘুরে যাচ্ছে। এ অবস্থার অতি দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার। তানা হলে আমাদের মতো সাধারন মানুষ চরম ভোগান্তীতে পড়বে।

নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারজানা রহমানকে অফিসে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমরা তাদেরকে এক মাসের বেতন দিতে চেয়েছি কিন্তু তাদের দাবী দুই মাসের বেতন একসাথে দিতে হবে।

এ বিষয়ে আমরা ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেছি তারা এ বিষয় নিয়ে শ্রীগ্রই আলোচনা করে এর সমাধান করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

/আরএ

Comments