মুহাম্মদ মুরসী আপোষহীন নেতা ছিলেন: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০১৯ ডেস্ক: মিশরের প্রথম নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ড. হাফেজ মুহাম্মদ মুরসীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। আজ এক বিবৃতিতে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, মুহাম্মাদ মুরসী একজন হাফেজে কুরআন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, খোদাভীরু একজন প্রেসিডেন্টের ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত। মুরসীর ইন্তেকালে বিশ্ববাসী একজন অবিসাংবাদিত নেতাকে হারালো। তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে কাতারের কাছে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচারের যে অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছিল, তা ছিল একটি অযুহাত মাত্র। মুহাম্মদ মুরসী শান্তিময় বিশ্ব গড়তে কুরআন সুন্নাহর সংবিধানে রাষ্ট্রের পরিচালনা, আল্লাহর জমিনে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস দমনে ইসলামী জিহাদের বিশ্বাসী হকের উপর অটল অবিচল একজন আপোষহীন নেতা ছিলেন, অন্যায় অবিচার,জুলুম আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সদা তিনি সোচ্চার ছিলেন বলেই তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন, মিশরের সর্বস্তরের জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত মুহাম্মদ মুরসী একজন প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্বেও সাদাসিদে জীবন যাপন করতেন, উচ্চবিলাসিতা পরিহার করে পরিবার পরিজনসহ রাজধানী কায়রোতে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। কারা প্রকোষ্ঠে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন এবং মাজলুম অবস্থায় কারাগারেই তিনি বিনা চিকিৎসায় মারা যান। তিনি বলেন, মিসরের প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের মুহাম্মাদ মুরসি। তাকে অনৈতিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। মূলত এই অবিসংবাদিত মুসলিম নেতা পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন। নেতৃবৃন্দ মুহাম্মাদ মুরসির শোকাহত পরিবার ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাকর্মীর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এমএম/ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: