ভৈরবে ক্রেতাদের পদচারণায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

প্রকাশিত: ৯:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০১৯

ভৈরব প্রতিনিধি: মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের পদচারণায় ভৈরব উপজেলার পৌর শহরের হাট-বাজারগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা।

ঈদুল ফিতর যতই ঘুনিয়ে আসছে বিপণি বিতানগুলোয় ক্রেতাদের পদচারণায় ততই সরগরম দেখা যাচ্ছে। দোকানগুলোতে বিভিন্ন সালোয়ার কামিজ, গেঞ্জি,প্যান্ট,শার্ট, শাড়ি, লুঙ্গি, ছোট ও বড়দের পাঞ্জাবি ও

ফতুয়া বিক্রি হচ্ছে। সাধ্যমত প্রতিবারের ন্যায় এবারও কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়া ঈদে চায় নতুন পোশাক তাই তো সাধ আর সাধ্যের মধ্যে না থাকলেও ছেলে-মেয়েদের উপহার দিতে ধনী ও মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে নিম্নবিত্তের বাবা-মায়েরা।

সরেজমিনে উপজেলার পৌর শহরের ভৈরব বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। পছন্দের পোশাকটি কিনতে ফুটপাত দোকানগুলোতে ভিড় করছে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষরা। ব্যবসায়ীরাও ফুটপাতের দোকানগুলোতে নানা রঙের পোশাক সাজিয়েছেন।

ক্রেতারা বলছেন, দাম যেমনই হোক নতুন কাপড় তো, তাই অল্প টাকার পোশেকেই ঈদের আনন্দ মেটায়। কাপড়ের দাম গত বছরের মতই, তেমন বেশি না।

দোকানীরা জানান, অধিক বিক্রয়ের আশায় এবার তারা অপেক্ষাকৃত বেশি এবং দামী পোশাক জমা করেছে খরিদ্দারদের উদ্দেশ্যে। কিন্তু পোশাকের দাম এবছর তেমন বাড়েনি ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই আছে। তাই বেচা কিনাও বেশি হবে বলে আশা করছেন দোকানিরা।

ভৈরব বাজারের পৌর নিউ মার্কেট,ছবিঘর শপিং কমপ্লেক্স, বিগ বাজার, জাহানারা শপিং কমপ্লেক্স, ফ্যাশন বাজার,আসমত টাওয়ার, কাপড় পট্টি ও হকার মার্কেটগুলোতে ভৈরব উপজেলার এলাকার লোকজন ছাড়াও পাশ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে দলে দলে লোকজন প্রতিদিন ছুটে আসছে ঈদের বাজার করতে ।

দোকানীরা নিজ নিজ দোকানে পসরা সাজিয় বসে আছে।দোকানগুলোতে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত কেনাবেচা চলছে। তাই দোকানগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দোকানীরা তাদের ইচ্ছামত জিনিস পত্রের দাম দিগুন হারে হাকিয়ে নিচ্ছে।

অন্যদিকে জুতার দোকানগুলোতেও উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। নতুন জামার সাথে মিচিং করে জুতা কিনতে সব বয়সের ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন জুতার দোকানগুলোতে। এক দোকানি জানালেন,ঈদের আর কয়েক দিন বাকি এর মধ্যই ভালোই জুতা বিক্রি হয়েছে।

আশা করি, আমাদের বিক্রি আরো বেড়ে যাবে।অন্যদিকে টেইলার এর দোকানগুলোতেও ভিড় চোখে পড়ার মত। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাপড় তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিরা।এর বাইরে কসমেটিকস ও স্টেশনারি দোকানেও কমতি নেই ক্রেতাদের।

এছাড়া গত বছরের তুলনায় এই বছর জিনিসের দাম খুব একটা না বাড়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন বেশিরভাগ ক্রেতারা।

এমএম/

Comments