নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বাজারে থাকছে না আর কোনো এনার্জি ড্রিংকস। সকল প্রকার এনার্জি ড্রিংকস তুলে দেয়া হবে বাজার থেকে। বন্ধ করে দেয়া হবে উৎপাদন, বিপনন ও বিজ্ঞাপন। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব মাহাবুব কবির ।

তিনি বলেন, এটা বাজারজাত, উৎপাদন করা যাবে না। প্রচার এবং বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে না, এই বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয় হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বাংলাদশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়, যেসব কোম্পানি বাংলাদেশে এই ড্রিংকস তৈরি করে তারা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)এর কাছ কার্বোনেটেড বেভারেজের লাইসেন্স নিয়ে এই এনার্জি ড্রিংক তৈরি করে।

কিন্তু ড্রিংকসে ক্যাফেইনের মাত্রা অনেক বেশি। যেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ১৪৫ এমজি থাকার কথা থাকলেও সেখানে ৩২০ এসেক্সসুয়ালি স্টিমুলেটিং ড্রাগ বা ভায়াগ্রার উপাদানও রয়েছে। কিন্তু এটা খাওয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না তাই এটার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হবে।

মাহাবুব কবির বলেন, এই ড্রিংকস যাতে বন্ধ করা হয় সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং কাস্টমসকে চিঠি দেয়া হবে।

বিবিসি  বাংলার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, দুই বছর আগেই তারা এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন।

সেখানে তারা দেখেছেন এই সব এনার্জি ড্রিংকসে তারা সেক্সুয়ালি স্টিমুলেটিং ড্রাগ বা ভায়াগ্রার উপাদান পেয়েছেন। এছাড়া যে মাত্রায় ক্যাফেইন থাকার কথা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আছে।

তিনি বলেন, যেহেতু এটা সরাসরি মাদক নিরাময় আইনের মধ্যে পরে না তাই তারা কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি। তবে এইসব ফাইন্ডিংগুলো তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, এই ড্রিংকসে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। এবং সেটা দেশে উৎপাদিত এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা উভয় ড্রিংকসের মধ্যেই আছে।

/এমএম

Comments