নিজ এলাকায় নেওয়া হচ্ছে না মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ

প্রকাশিত: ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৪

জীবনের শেষে ইচ্ছা ছিল ‘মৃত্যুর পর যেন নিজ এলাকায়  তাকে শায়িত করা হয়।’ কিন্তু আওয়ামী লীগের সাবেক এ নেত্রীর শেষ ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে না। শেরপুরের নালিতাবাড়িতে নেওয়া হচ্ছে না  তার মরদেহ। দাফন করা হবে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সেখানে দাফনের জন্য সিটি করপোরেশনের কাছে নতুন জায়গা চাওয়া হয়েছে। নতুন জায়গা না পেলে একই কবরস্থানে স্বামী বজলুর রহমানের কবরেই তাকে দাফন করা হবে।

মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ‘এলাকার মানুষের দাবি থাকলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মতিয়া চৌধুরীর মরদেহ নিজের নির্বাচনি এলাকায় নেওয়া হচ্ছে না। বুদ্ধিজীবী কবরস্থানেই দাফন করা হবে।’

মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গুলশান আজাদ মসজিদ মাঠে মতিয়া চৌধুরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ নেওয়া হবে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

উল্লেখ্য, বুধবার রাজধানীর এভারকেয়ার  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও শেরপুর-২ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য ‘অগ্নিকন্যা’ খ্যাত মতিয়া চৌধুরী।

তিনি ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পান।

ছাত্র অবস্থায় আইয়ুবের সামরিক শাসনামলে ঢাকার ইডেন কলেজেন ভিপি ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। পরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। সেসময় বামপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে রাজপথের লড়াকু যৌদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ছাত্র ইউনিয়ন যখন দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, তখন তিনি একটি অংশের নেতৃত্ব দেন এবং ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের সভাপতি হন।

পঁচাত্তরে পরিবারসহ শেখ মুজিবকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন মতিয়া চৌধুরী। তখন তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নেতা না হয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর মতিয়া চৌধুরী তার সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করেন।

(একুশ নিউজ/১৭অক্টোবর/পিএস)

Comments