নবী-সাহাবীদের স্মৃতিময় স্থান পরিদর্শনে আত্মা শান্ত হয়: ওমানে মুফতি মিছবাহ

প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮

শাহনূর শাহীন: বাংলাদেশের প্রখ্যাত ওয়ায়েজ, সময়ের আলোচিত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, মারকাযুত তাকওয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক, মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য সফরে যান।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত সফরের উদ্দেশ্যে প্রথমে আরব আমিরাত সফর শেষে তিনি এখন ওমানে অবস্থান করছেন।

ওমানে মাহফিল-সেমিনারে ব্যস্ত সময় কাটানোর পাশাপাশি পরিদর্শন করেছেন ঐতিহাসিক ইসলামী প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনা। বিশেষ করে নবী আলাইহিস সালাম ও সাহাবী রা.-এর কবর জিয়ারাত করেছেন।

সফরকলীন সময়ে প্রথমে ওমানের সুমায়েলে অবস্থিত হযরত মাজেন বিন গদুওয়া রাদিঅাল্লাহু তাআলা আনহুর কবর জিয়ারত করেন। এরপর মাস্কট থেকে ১২০০ কিলোমিটার দূরত্ব সালালায় অবস্থিত হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালামের কবর, হযরত ইমরান আলাইহিস সালামের কবর জিয়ারত করেন।

এরপর হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম যেখানে মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন এবং হযরত সালেহ আলাইহিস সালাম এবং তাঁর উটনীর মৃত থেকে জীবিত হওয়া ঐতিহাসিক স্থানসমূহ পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ জানান, বিশ্ব নবী মুহাম্মদ সা. এর সাহাবী হযরত মাজেন বিন গদুওয়া রা. এর কবর জিয়ারতের সৌভাগ্য হয়েছে। রাসুলের সা. সাহাবীর কবরের পাশে দাঁড়ানোর অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। দীনের জন্য সাহাবায়ে কেরাম রা.-দের ত্যাগ তিতিক্ষার কথা স্মরণে চক্ষু শীতল হয়ে যায়, আত্মা শান্ত হয়।

কবরের পাাশে দাঁড়িয়ে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যাই সাহাবায়ে কেরামের ঐতিহাসিক অবদানের ইতিহাস পাঠে। এছাড়াও মাস্কটে অবস্থিত হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমরান আলাইহিস সালামের কবর জিয়ারত করেছি। সালেহ আ. এর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেছি। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমরা জমিনে আল্লাহর নিদর্শন সমূহ পরিদর্শন করো। নবী-সাহাবীদের স্মৃতিময় স্থান এবং তাদের কবর আমাদের জন্য অনেক মূল্যবান নিদর্শন। এর থেকে আমাদের জন্য রয়েছে অনেক শিক্ষনীয় বিষয়।

ওয়ায়েজ হিসেবে বাংলাদেশে ব্যাপক সুনাম ও সুখ্যাতির পাশাপাশি লেখক ও সমাজকর্মী হিসেবেও রয়েছে তার ব্যাপক সুনাম। সম্প্রতি ‘আমি বাংলাদেশ’ শিরোনামের একটি জাগরণী ইসলামী সংগীত গেয়েও শ্রোতামহলে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। গানটির কথা ও সূর করেছেন তিনি নিজেই।

আমি বাংলাদেশ’ সংগীতের জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ওমান কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ‘সংগীতের স্বপ্নপুরুষ’ সম্মাননাও প্রদান করা হয়।

এছাড়াও ওয়াজ, লেখালেখি ও সমাজকর্মী হিসেবে ভূমিকা রাখায় ওমানস্থ ফেনী ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ‘ফখরুল উম্মাহ’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

তার সঙ্গে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন এনটিভির উপস্থাপক, ফেনী রঘুনাথপুর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সালাহ্উদ্দিন জাহাঙ্গীর।সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন মাওলানা মীর আহমাদ মরু, মাওলানা মিযানুর রহমান, মাওলানা আসগর সালেহী, ও বিভিন্ন স্থানের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

/এমএম

Comments