তেজগাঁও বিমানবন্দর যেন ‘হাতছাড়া’ না হয়: বিমান বাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:৫৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৮ একুশ ডেস্ক: তেজগাঁও বিমানবন্দর যেন হাতছাড়া না হয় সে জন্য বিমানবাহিনীকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তেজগাঁও বিমান বন্দরের জায়গা দখলের জন্য অনেকেই হাত বাড়িয়ে রেখেছে। এই বিমান বন্দর যেন ‘বেহাত‘ না হয়। শনিবার সকালে তেজগাঁও বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর এয়ার মুভমন্টে ফ্লাইটের নতুন ভিভিআইপি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা বিমান বাহিনীর এয়ারপোর্ট, এটা বিমান বাহিনীরই থাকবে। এটা কোনোদিন বন্ধ হবে না। এই বিমান বন্দর দখলের চক্রান্ত বিভিন্ন সময় হয়ে থাকে। উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের যে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়, এমনভাবে করা হয়েছিলো যেন এই বিমানবন্দর চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। পরে তখনকার বিমান বাহিনী প্রধানের ‘সহায়তায়’ মেট্রোরেলের পথ পরিবর্তন করা হয় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, আমি এটুকু সতর্ক করতে চাই যে, এটার ওপর অনেকের কিন্তু শ্যেন দৃষ্টি আছে। এটা যেন বেহাত না হয়, বিমান বাহিনী এটাকে সেভাবে ব্যবহার করবে। এটার আশপাশে উঁচু উঁচু বিল্ডিং বানাতে হবে- এই চিন্তা যেন সকলের মাথা থেকে চলে যায়। এ সময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, তিন বাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ এর দশকে তখনকার ব্রিটিশ সরকার তেজগাঁও বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করে। ১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধ শেষে এটি বেসামরিক বিমানবন্দরে হিসেবে চালু হয়। ১৯৮১ সালে নতুন বিমানবন্দর চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত তেজগাঁও বিমানবন্দরই ছিল দেশের প্রধান বিমানবন্দর। বর্তমানে এ বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। বর্তমানে বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে তাদের হেলিকপ্টার, প্রশিক্ষণ বিমান, জেট বিমান ও বৃহদাকার পরিবহন বিমান পরিচালনা করে থাকে। এ ছাড়া এখান থেকে জরুরি ত্রাণসামগ্রী বহনের জন্য বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। /আরএ Comments SHARES জাতীয় বিষয়: তেজগাঁও বিমানবন্দর যেন ‘হাতছাড়া’ না হয়: প্রধানমন্ত্রী