টাঙ্গাইলে স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলায় মূল হোতা সহ তিনজন আটক

প্রকাশিত: ১১:১০ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৮

একুশ ডেস্ক: টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে স্কুল ছাত্রীকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণের এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া, ভয়ভীতিতে গর্ভপাত করানো ও স্থানীয় পর্যায়ে তার বিচার করার ঘটনায় মূল আসামি এবং মীমাংসায় ভূমিকা পালনকারী ২ মাতাব্বরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ধর্ষিত ওই স্কুল ছাত্রীকেও পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে ধনবাড়ী থানা।

আটককৃতরা হলেন অভিযুক্ত ধর্ষক রফিকুল ইসলাম, অভিযুক্ত ধর্ষক আল আমিনের বাবা মাহতাব উদ্দিন মাতাব্বর এবং স্থানীয় মাতাব্বর কামরুজ্জামান তাঁরা। ঘটনার মূল হোতা রফিকুল ছাড়া বাকি ২ জন এ ঘটনা মীমাংসাকারী এলাকার মাতাব্বর। মঙ্গলবার সহকারী পুলিশ সুপার (মধুপুর সার্কেল) কামরান হোসেনের নেতৃত্বে ধনবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

উল্লেখ্য, ধনবাড়ী পৌর শহরের রূপশান্তি পশ্চিম পাড়ার স্কুলছাত্রীকে (১৩) একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম, জিয়াউল হক ও আল-আমিনসহ কয়েকজন ভয়ভীতি দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় কতিপয় মাতাব্বর গত ১৬ এপ্রিল রাতে এলাকায় সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে কয়েক ঘা জুতাপেটা আর লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। ওই বৈঠকে মেয়েটিকে ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর সিদ্ধান্ত হয় এবং এ ব্যাপারে কোন উচ্চবাচ্য না করতে পরিবারকে হুমকি প্রদান করা হয়।

১৯ এপ্রিল বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে ফলাও করে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর নির্যাতিতা পরিবারকে এলাকা থেকে কৌশলে সরিয়ে ফেলা হয়। থানায় মামলা না হওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ বাদী না পাওয়ার কথা জানায়। এ অবস্থায় ২২ এপ্রিল নিখোঁজ নির্যাতিত পরিবারের সন্ধান ও এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান বিক্ষোভ মিছিল করে ধনবাড়ী ইউএনও’র মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন। এ ঘটনার এক মাস পর পুলিশ মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ওই ৩ জনকে আটক করল।

সহকারী পুলিশ সুপার (মধুপুর সার্কেল) কামরান হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে (আগামীকাল বুধবার) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসকে বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান। এর চেয়ে বেশি কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিন।

/এমএম

Comments