টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর রুপা ধর্ষণ-হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, একুশনিউজ২৪: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে চাঞ্চল্যকর রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। রায়ে আসামীর প্রত্যেকেই সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। বাসের চালক এবং সহকারীসহ চারজনের ফাঁসি ও একজনের ৭ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

আজ সোমবার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বাসটির চালক হাবিবুর রহমান (৪৫), চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (২০)। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত সুপারভাইজার সফর আলী ওরফে গেদু মিয়াকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রায়ে যেই বাসে রুপাকে ধর্ষণ করা হয়েছে সেটি জব্দ করে  রুপার পরিবারকে দিয়ে দেবার আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ-হত্যা মামলার বিচার কাজ দ্রততার সাখে মাত্র ৭১ দিনের মধ্যে শেষ হলো।

রায়ের পর টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি এ কে এম নাছিমুল আখতার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত বছরের ২৫শে অগাস্ট বগুড়ায় পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাবার পথে বাসের চালক, সহকারী এবং সুপারভাইজার জাকিয়া সুলতানা রুপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।

ঘটনার পরে রুপার লাশ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করে টাঙ্গাইলে জেলা পুলিশ। অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে রুপার ভাই ২৮শে অগাস্ট মধুপুর থানায় এসে বোনকে শনাক্ত করেন।

এ মামলায় অভিযোগ গঠন, সাক্ষী ও যুক্তিতর্ক মাত্র ১৪ দিনে সম্পন্ন হয়। সর্বশেষ মাত্র ৭১ কার্য দিবসে মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

আরএ

Comments