খুলনায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০১৮

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা নগর সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে এবং আসন্ন নির্বাচনে যাতে অংশ নিতে না পারে, সে জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে আটক রেখেছে। জামিন পেলেও তাঁকে জামিন দেওয়া হয়নি। একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।

সরকার যা বলছেন আদালতে তার প্রতিফলন হয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা এ রায় প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও বিরোধী দল ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। তাই মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়ে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা সরকারকে মানতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিতে হবে। তার মুক্তি না হলে কোনও নির্বাচনই অর্থবহ হবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা প্রদানের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে বুধবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়বে এটা আমরা কখনও আশা করিনি। এটা নজিরবিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। এর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, আগামীতে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেখানে খালেদা জিয়া, বিএনপিসহ বিরোধীদলকে বাইরে রাখা। বিএনপি ও বিরোধী দল ছাড়া আগামীতে কোনও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। দেশের মানুষ হতে দেবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে নির্বাচন বন্ধ, অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান।

বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট ডাকাতিতে সহায়তাকারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিতর্কিত সদস্যদের অপসারণ করতে হবে। একই সাথে গণগ্রেফতার, ভীতি মুক্ত ও বাধাহীন পরিবেশে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই একের পর এত মিথ্যা মামলায় বিচারের নামে প্রহসনের সাজানো-পাতানো রায়ে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। এতে শেষ রক্ষা হবে না। গত দশ বছরে যত লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতেই তার বিচার হবে। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজানো পাতানো ষড়যন্ত্রমূলক রায় বাতিল ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। একইসঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সবার আগে শর্ত হচ্ছে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।

বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, রেহানা আক্তার, শাহজালাল বাবলু, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, ফখরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শফিকুল আলম তুহিন, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আজিজুল হাসান দুলু, ইকবাল হোসেন খোকন হেদায়েত হোসেন হেদু, কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

/আরএ

Comments