খুলনায় ঈদ ছুটি শেষে যাত্রীদের ভোগান্তি, বাস টিকিটের মূল্যে আগুন

প্রকাশিত: ৯:০০ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০১৯

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে খুলনা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরমুখি মানুষ বাসের টিকিট সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে ধরনা ধরেও টিকিট পাচ্ছেন না অনেকে। তাছাড়া টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির কারনে যাত্রীদের মধ্যে দেখা গেছে চরম ক্ষোভ। ৪শ’ টাকার টিকিট ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকাও বিক্রি হচ্ছে।

৮শ’ টাকার টিকিট কাউন্টার গুলোতেই এক হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে কোন কোন বাস কাউন্টার সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বাস কাউন্টারগুলোর এ ধরনের নৈরাজ্য ঠেকাতে ভুক্তভোগী যাত্রীরা জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের দাবি জানিয়েছেন।

ঈদের আগেই জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে নগরীর বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টারে অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২৬ মে টিকিটের মূল্য তালিকা না থাকায় ফাল্গুনী, বনফুল ও ইমাদ কাউন্টারকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল হাসান ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম এ জরিমানা করেন। এরপর ২৯ মে একই অভিযোগে মেট্রোপলিটন কাউন্টারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর।

ঈদের ছুটি শেষে টিকিট প্রতি ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা হারে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে নগরীর রয়্যাল মোড়, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল ও শিববাড়ি মোড়স্থ বিভিন্ন বাস কাউন্টারের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, মালিকপক্ষের নির্দেশেই টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর বেশি কিছু তারা জানেনা না।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির সাথে যে সকল বাস কাউন্টার জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান শুরু হবে। প্রমাণ পেলে জেল-জরিমানা করবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম বলেন, বিআরটিএ নির্ধারিত টিকিটের মূল্যের থেকে বেশি কোন কাউন্টার থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিলে তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া ঈদ পরবর্তী অভিযান শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

এমএম/

Comments