হলুদ-মরিচে ইট-কাঠের গুড়া, ভৈরবে ভ্রাম্যমান আদালতে ২ জনকে কারাদন্ড নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০১৮ আফসার হোসেন তূর্য, ভৈরব: ভৈরব বাজার পুরাতন লালপুরঘাট এলাকায় অবস্থিত হাজী আবুল হাসেম মোল্লার মাহিন লাকড়ি মিলের অন্তরালে চলমান ভেজাল মসলা উৎপাদনের ক্রাসিং মিলে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ভেজাল মসলা উৎপাদন করার দায়ে মিলের মালিককে ১ বছর ও এক কর্মচারিকে ১০ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাজী ফয়সাল। অভিযান পরিচালনায় সহযোগীতা করেন র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। জানা যায়, হলুদ, মরিচ ও ধনিয়ার সাথে পঁচা আতপ চাউল, ধানের কুড়া, কাঠের ভূষি, সিঁদুুরের রং, ধনিয়ার গাছ, ইটের গুড়া, ইটের রং ইত্যাদি মিশিয়ে মসলার ক্রসিং মিলগুলি মসলা উৎপাদন করে। ভৈরবের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রাসিং মিলগুলিতে নিয়মিতই এ ধরণের মসলা তৈরি করে বাজারজাত করণ করে আসছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২টার দিকে ক্রাসিং মিলগুলিতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনার সত্যতা ও পান। পরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভেজাল মসলা উৎপাদন করার দায়ে কারখানার মালিক অাবু আনসারী রনি মিয়া কে ১ বছর ও কর্মচারী দেলোয়ার মিয়াকে ১০ দিনের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরে উৎপাদিত ৩,২০০ কেজি ভেজাল মসলা জব্দ করা করা হয়। জব্দ হওয়া ভেজাল ও নিন্মমানের মালামাল ধ্বংস করা হবে কিনা ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কাজী ফয়সালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে জব্দকৃত মালামাল ধ্বংস করা হবে না। আগামী সপ্তাহে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রিটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি। /আরএ Comments SHARES সারাদেশ বিষয়: ভৈরবে ভ্রাম্যমান আদালতে ২ জনকে কারাদন্ডহলুদ-মরিচে ইট-কাঠের গুড়া