সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে প্রেসিডেন্ট বরাবর ইসলামী আন্দোলনের স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আব্দুল হামিদের নিকট ১০ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার সকালে হাউজ বিল্ডিংয়ের সামনের চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে একটি প্রতিনিধি দল প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে গিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিনের নিকট স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

স্মারকলিপির ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়া। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া। নির্বাচনী লেভেল প্লেন ফিল্ড তৈরি, গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দেয়া।

এছাড়াও রয়েছে, রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানী বন্ধ। দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখার দবি।

স্মারকলিপি প্রদান পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের আমীর চরমোনাই পীল মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন বলেন, দেশবাসী আর কোন তামাশার নির্বাচন মেনে নেবে না। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিল পাশ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে একজন নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

তিনি বলেন, দলীয় আজ্ঞাবহ কমিশনের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নিবন্ধিত সকল দলে মতামতের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

পীর চরমোনাই বলেন, উল্লিখিত দাবিগুলো পুরণের এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের। তাই জাতির অভিভাবক হিসেবে প্রেসিডেন্ট এ দাবিগুলো পুরণ করে জাতিকে সামনের একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক নৈরাজ্য ও প্রতিহিংসার আগুন যেভাবে ধেয়ে আসছে, তা যদি নির্মূল করা না যায় তাহলে বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশের মত আমাদের দেশেও গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। তার আলামতই দিন দিন প্রকট হচ্ছে। আর এ সুযোগে আমাদের দেশে বিদেশি সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী অপশক্তিসমূহ ঘাটি গেঢ়ে বসার সুবর্ণ সুযোগ পাবে। যার ফলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর উদ্যোগ প্রেসিডেন্টের নিকট দেশবাসী প্রত্যাশা করে।

এরপরও দাবি পুরণ না হলে কঠিন থেকে কঠিন কর্মসুচি দিয়ে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলেও তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মহাসিচব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, আলহাজ¦ আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, শায়খুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম নাঈম, সৈয়দ ওমর ফারুক, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা নাযির আহমদ শিবলী।

/আরএ

Comments