ভৈরবে ৩ দফা দাবীতে সর্বস্তরের মানুষের মানবন্ধন

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৮

আফসার হোসেন তূর্য, ভৈরব: অতি দ্রুত সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতী ও ভৈরবের উপর দিয়ে বাইপাস রেলপথ স্থাপন না করাসহ দেশের ৬৫ তম ভৈরব জেলা বাস্তবানের দাবিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের লোকজন।

২ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবশে করে সর্বস্তরের লোকজন।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আল্টিমেটাম দিয়ে ৭২ ঘন্টা সময় বেঁধে দেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্দরনগরী ভৈরবে সড়ক, রেল ও নৌ পথ অবরোধসহ বৃহৎতম আন্দোলনের ডাক দেবে বলে হুশিয়ারী দেন তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন- ভৈরব চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু, ভৈরব টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান ফারুক, ভৈরব রিপোটার্স ক্লাব ও ইউনিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ ভৈরবী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলাল উদ্দিন ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এন কে সোহেল প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য শত শত মানুষের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি নষ্ট করে কিশোরগঞ্জের স্বপ্ন ভৈরবের উপর দিয়ে বাইপাস রেলপথ স্থাপন করতে দেয়া হবে না। তাছাড়া প্রতি বছর সরকার এই স্টেশন থেকে টিকেট বিক্রির মাধ্যেমে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেন। অথচ, কিছু ট্রেন এই স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে না। তাই, অতি দ্রুত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল পথের সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

এছাড়াও প্রয়াত রাষ্টপ্রতি আলহাজ্ব মো. জিল্লুর রহমানের জীবনের শেষ ইচ্ছা ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন করতে হবে। জেলার দাবি এখন ভৈরববাসীর প্রাণের দাবি। আর দাবী আদায়ে প্রয়োজনে বৃহৎতম আন্দোলনের ডাক দেবে বলে হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

/আরএ

Comments