ভৈরবে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল গায়েব

প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯

ভৈরবের শ্রীনগর ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে বিতরণের জন্য উত্তোলনকৃত ২৪ বস্তা চাল গায়েব হয়ে গেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় চাল কার্ডধারী ৩শ’ ১৮টি পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস। চাল গায়েবের কারণে ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শরীফ মোল্লা।

জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এ বছরও সরকার সারাদেশে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে ভৈরবের ৭টি ইউনিয়নে নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে প্রত্যেক পরিবারের মাঝে মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু করা হয়।

বরাদ্দকৃত চাল ডিলাররা উত্তোলন করে নিজ নিজ গুডাউনে রেখে ট্যাগ অফিসারের সামনে বিতরণ করার কথা। সে অনুযায়ী উপজেলার ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামের ডিলার হেলাল উদ্দিন হেলু তার বরাদ্দকৃত ৩শ’ ১৮ জন কার্ডধারীর জন্য ১শ’ ৯০ বস্তা চাল ডিও’র মাধ্যমে উত্তোলন করেন।

কিন্তু সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে গুডাউনে রাখা বরাদ্দকৃত চাল বিতরণের আগে চেক করা হলে বরাদ্দের ২৪ বস্তা চাল কম পাওয়া যায়। পরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শরীফ মোল্লা, শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান সার্জেন্ট (অব.) আবু তাহের ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল বাশারসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিলারকে গায়েব হওয়া ২৪ বস্তা চাল বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে জবাব পাননি। এ সময় তারা চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী খন্দকার শফিকুর রহমান বরাদ্দের ২৪ বস্তা চাল গায়েবের কথা স্বীকার করে বলেন, চাল কম পাওয়ায় হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ডিলার হেলাল উদ্দিনকে গায়েব হওয়া চাল পূরণ করার জন্য বলা হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শরীফ মোল্লা বলেন, বরাদ্দকৃতের ১শ’ ৯০ বস্তা চাল উত্তোলন করেছেন ডিলার হেলাল উদ্দিন। তিনি আমাকে বার বার বলছিলেন চাল বিতরণ করে দেওয়ার জন্য। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমি এতে রাজি হইনি। পরে আমরা তার গোডাউনে ১শ’ ৯০ বস্তার মধ্যে ১শ’ ৬৬ বস্তা চাল পাই। ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ২/১ দিনের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি বলেছেন।

Comments