বাঘারপাড়া খাদ্য অফিসের অনিয়ম, নাম সর্বস্ব মিলের নামে বরাদ্দ!

প্রকাশিত: ৬:০২ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০১৯

শান্ত দেবনাথ,বাঘারপাড়া(যশোর) প্রতিনিধিঃ বাঘারপাড়া উপজেলা খাদ্যগুদামে
সরকারিভাবে চাল সংগ্রহে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে খাদ্য বিভাগ বোরো চাল সংগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  এ উপজেলায় ১৩ মে হতে শুরু হয়েছে চাল সংগ্রহ অভিযান।

বাঘারপাড়া উপজেলায় চাল সংগ্রহ করা হবে ২ হাজার ৮৩ মেট্রিক টন। চালের মূল্যে নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা হারে, যা প্রতি ৫০ কেজি বস্তার মূল্য ১৮’শ টাকা। ইতোমধ্যে চাল সংগ্রহের জন্য উপজেলার খাদ্য বিভাগের রেজিস্টারকৃত ৫৭টি রাইছ মিল কে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সুত্রের দাবি, একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অযোগ্য এমন রাইস মিলকে সচল দেখিয়ে ওইসব মিলের নামে চাল সংগ্রহ করছেন উপজেলা খাদ্য অফিস । ইতোমধ্যে ৮’শ৪৮ মেট্রিকটন চাল খাদ্য গুদামে সংগ্রহ করা হয়েছে।

গত কয়েকদিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চুক্তিবদ্ধ ৫৭টি রাইস মিলের মধ্যে কয়েকটি মিলের উৎপাদন ক্ষমতা ও অবকাঠামো একেবারি নেই। এসব মিলের বয়লার ভাঙা এবং চাতালে ঘাস উঠেছে।

দীর্ঘদিন ধরে উৎ্ধসঢ়;পাদন বন্ধ থাকায় এবং ধান সিদ্ধ না করায় চাতালে ঘাস জন্মে গেছে। বয়লার ও হাউজে ঝোপঝাড়ে আর কচুরিপানায় ভরে রয়েছে।  ধান শুকানোর চাতালে পলেস্তারা ভেঙ্গে গেছে। বছরের পর বছর এসব মিলে সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আর এসব অযোগ্য মিলের নামে বরাদ্দ দেখিয়ে খাদ্য অফিসের সহযোগিতায় বিশেষ একটি সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এ কারনে ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের বিশেষ উদ্দ্যেগ।

চালকল নির্বাচন নীতিমালা উপেক্ষা করে খাদ্য অফিস আযোগ্য চালকলগুলোর নামে বরাদ্দ দিয়েছে সেগুলি হলো, আগড়া বাজারে মা ফাতেমা রাইস মিল ২৪ দশমিক ৭৮ মেট্রিকটন, মোল্যা রাইস মিল ১৪ দশমিক ৫’শ ৫৯ মেট্রিকটন, ফুলমতি রাইস মিল, ১৫ দশমিক ১’শ ১৯ মেট্রিকটন, ধলগ্রাম বাজারে মেসার্স বিসমিল্লাহ রাইস মিল ২৪ দশমিক ৭৮ মেট্রিকটন, বাঘারপাড়া পৌরসভায় মধ্যে রয়েছে হাজু রাইস মিল ৭ দশমিক ২’শ ৭৯ মেট্রিকটন, সরদার রাইস মিল(মহিরন এলাকা )২১ দশমিক ৮’শ ৩৮ মেট্রিকটন, শুভ রাইস মিল ১৫ দশমিক ১’শ ১৯ মেট্রিকটন, জামদিয়া এলাকায় রোস্তম আলী রাইস মিল, ১৪ দশমিক ৫’শ ৫৯ মেট্রিকটন, বাররা বাজারে বাবু এন্ড রাইস মিল ১৯ দশমিক ৫’শ ৯৮ মেট্রিকটন, চাড়াভিটা বাজারে সরদার রাইস মিল ১৫ দশমিক ১’শ ১৯ মেট্রিকটন।

এছাড়াও সঠিক তদন্ত করলে আরোও অনেক অযোগ্য মিল বেরিয়ে আসবে। কথা হয় আগড়া বাজারের মোল্যা রাইস মিলের মালিক তৈয়াব আলীর সাথে সরকারি বরাদ্দ কিভাবে পান জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমার লাইসেন্স আছে আমি বরাদ্দ পায়। আমার কিছু থাকুক বা না থাকুক ওটা আপনার দেখার বিষয় নাই। পারলে আমার লাইসেন্স বাতিল করে দেন। জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফাতেমা সুলতানা জানান, মিল চালু থাকলে বরাদ্দ দেওয়া যায়।

Comments