ইংরেজিতে দাওয়াত কার্ডগুলো লেখা হয়; এটা কেন?
একুশ ডেক্স : শনিবার এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাভাষা রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা পায়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিয়ে, মুসলমানি, হালখাতা ইত্যাদি দাওয়াত কার্ডও এখন ইংরেজিতে লেখা হয়। এটা কেন লিখতে হবে? ইংরেজি ভাষাভাষীর জন্য সেটা হতে পারে। তবে আমাদের দেশে বিয়ের কার্ড কেন ইংরেজি ভাষায় লিখতে হবে? এর মধ্যে তো কোনো আলাদা মর্যাদা নেই। বরং বাংলাতে লেখাই অধিক মর্যাদার বিষয়।আওয়ামী লীগ আসার পরই বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন জাতির পিতা।
তিনি বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ আবারও উন্নয়নের কাজ শুরু করে। এখন মুক্তিযুদ্ধের কথা মানুষ প্রাণখুলে বলতে পারে।
আজ শনিবার বিকালে কৃষিবিদ ইস্টিটিউশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি অর্জনের পেছনে এদেশর মানুষের ত্যাগ রয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতাকে একেবারে তৃণমূলে পৌঁছে দিয়েছিলেন । স্বাধীনতা অর্যনের পর জাতির পিতার অনুরোধে মিত্রশক্তিকে ফেরৎ নিয়ে যান ইন্দিরা গান্দী। তারপরই স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ শুরু করেছিলেন জাতির পিতা।
শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে অন্য ভাষাও শিখতে হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে যোগাযোগ বাড়াতে এটা জরুরি। এই সময়ে যে যত বেশি ভাষা শিখতে পারে তার জন্য তত ভালো। তবে সবার আগে ভালোভাবে বাংলা ভাষা শেখাটা জরুরি।
ইংরেজি ও বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে ভাষার বিকৃতিকারীদেরও সমালোচনা করেন তিনি।