তথ্যপ্রযুক্তি খাতে শতকোটি ডলার রপ্তানি

প্রকাশিত: ১০:১১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২, ২০১৯

একুশে ডেস্ক: ২০১৮ সালে দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে রপ্তানি ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যা বাংলাদেশী টাকার হিসেবে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশে সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও সফটওয়্যার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যারের বাজারও বড় হচ্ছে। দেশের বাজার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই আবার দেশি সফটওয়্যার নির্মাতারা দখল করেছেন।

তবে বড় প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোর ক্ষেত্রে এখনো বিদেশি সফটওয়্যারের ওপর নির্ভরতা থেকে গেছে। দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে ২৭টি ব্যাংকেই দেশি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে।

বেসিসের সভাপতি আলমাস কবীর বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এখন আমাদের সফটওয়্যার নির্মাতারা বিদেশেও রপ্তানি করছে। তবে আমাদের দেশ থেকে বড় ধরনের একক সফটওয়্যার রপ্তানি হাতে গোনা।

এখন পর্যন্ত আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপিও, সার্ভিস রপ্তানি করছি বেশি। বিপিওর ক্ষেত্রে ব্যাংকের নানা কাজ, নানা রকম সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে গ্রাফিকস, ওয়েবের কাজ হচ্ছে।

এর আগের ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি হিসাবে ৮০০ মিলিয়ন (৮০ কোটি) ডলারের সফটওয়্যার রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এক বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ মাইলফলক বছরের শুরুতেই পার হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বেসিসের সভাপতি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের টার্গেট বা লক্ষ্য ছিল, ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন রপ্তানি আয় করা। এ ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার ও সেবাপণ্য রপ্তানি করা।

সফটওয়্যার রপ্তানিতে ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়াসহ, এখাতের উন্নয়নের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে ২০১৮ সালে সফটওয়্যার রপ্তানি বেড়েছে।

ইবিপি তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কম্পিউটার সার্ভিস থেকে রপ্তানি ছিল ১০ কোটি ৭১ লাখ মার্কিন ডলার।

ইনফরমেশন সার্ভিসেসের রপ্তানি আয় ৩০ লাখ ৭৬ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কম্পিউটার সার্ভিস থেকে মোট আয় ছিল ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। ইনফরমেশন সার্ভিসেস থেকে আয় ছিল ৬০ লাখ ৪৬ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৯৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে আর ইনফরমেশন সার্ভিসেসের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৯০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

/এফএফ

Comments