ঠাকুরগাঁও অবহেলিত ও বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন সুনীল চন্দ্র রায়

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০১৯

গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও: এলাকার অসহায়, গরীব ও শ্রমজীবি পরিবারের শিশুদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে ভর্তি ফি, বই পুস্তুক, মিড-ডে মিল ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে শিক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বৈরচুনা আইডিয়াল স্কুল স্কুলের শিক্ষকগণ।

ব্যতিক্রমী ভাবে শিক্ষার মান উন্নয়নে অব্যাহত রেখেছেন স্কুলের শিক্ষকগণ। জানা যায়, উপজেলার ১১নং বৈরচুনা ইউনিয়নের বৈরচুনা বাজার সংলগ্ন বৈরচুনা আইডিয়াল স্কুল ২০০২ সালে শিক্ষার কার্যক্রম শুরু করেন সুনীল চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তি।

বর্তমানে প্রায় ৬শ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়ে শিক্ষার কার্যক্রম চলছে। তিনি চাকুরীর পিছনে না ছুটে এলাকার অবহেলিত ও বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এ মহতী উদ্দ্যোগ নিয়ে শিক্ষার আলো ছড়াছেন। তার স্ব-উদ্যোগে এলাকার কয়েকজন শিক্ষিত যুবক কে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন শিক্ষার আলোর। পর্যায়ক্রমে বৈরচুনা আইডিয়াল স্কুল বিগত দেড় যুগ অতিবাহিত হলেও পায়নি কোন সরকারি সহায়তা।

অভিভাবক হিরেন্দ্র নাথ রায়, তিনি জানান গ্রামের অবহেলিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বৈরচুনার মত প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলেছে এবং এখানে অত্যান্ত আধুনিক ভাবে পাঠদান করা হয়।

দশম শ্রেণির ছাত্র চন্দ্র কান্ত বলেন, আমি জেএসসি তে জিপিএ-৫ পেয়েছি এসএসসিতে জিপিএ গোল্ডডেন প্লাস পাবো। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিফা আক্তার জানান, এ স্কুল থেকে এবার আমি জিএসসি পরীক্ষার্থী, পিএসসি পরীক্ষায় আমি ট্রেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলাম।

শিক্ষক আবু সায়েম মন্ডল বলেন, ২০০২ সাল থেকে শুরু করে শিক্ষকদের সকল পারিশ্রমিক দিয়েই তিলে তিলে এ স্কুলটি গড়ে তুলেছি। শিক্ষক মহিদুর রহমান জানান, দরিদ্র ও হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের আমি ইংরেজী বিষয়ে বিনামূল্যে পাঠদান করাই।

প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার রায় জানান, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানটি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল ভারত বাংলাদেশ শেষ সীমান্তে অবস্থিত। এ প্রতিষ্ঠান চালাতে গিয়ে আমাদের অনেক হিমসিম খেতে হয়। আমরা ২০০২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেছি। আমাদের এলাকায় বেশির ভাগ মানুষই গরীব অসহায় আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। যারা গরীব মেধাবী তাদের আমরা ফ্রিতে লেখা পড়া সুযোগ করে দেই।

যারা এতিম তাদেরকে আবাসিকের ব্যবস্থা করে ফ্রিতে খাওয়া ও পড়া লেখা করাই। ১১নং বৈরচুনা ইউ’পি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন জানান, এ ধরনের ব্যতিক্রমী স্কুল পরিচালনা করা এবং এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে সরকারি সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন। এলাকার সচেতন মহল জানায়, বৈরচুনা আইডিয়াল স্কুল অন্ধকার থেকে আলো ছড়িয়েছে তাই শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো চাকুরী পাবে।

বিআইজে/

Comments