আন্তর্জাতি

নারী দিবসে ‘জয়িতা’ সম্মাননা পেলেন স্বপ্নজয়ী ৫ নারী

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৪
শুক্রবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়িতা সম্মাননা প্রাপ্তরা

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আয়োজনে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নারী সম্মাননা ‘জয়িতা’ পদকে ভূষিত হলেন দেশের স্বপ্নজয়ী ৫ নারী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের সাহস, যোগ্যতা ও স্বপ্ন পূরণে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন তারা।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়িতাদের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। সম্মাননাপ্রাপ্ত জয়িতারা হলেন ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘জয়িতা’ পদকে ভূষিত নারীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ মাস আমাদের স্বাধীনতার মাস। এ মাসেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্মগ্রহণ করেন। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ ও নির্যাতিত দু’লাখ মা-বোনকে।’

তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এশিয়ার দেশগুলোর শীর্ষে। জেন্ডার সমতা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান আজ বিশ্বে ৭ম। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে ১৯ জন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে সংরক্ষিত আসন ও নির্বাচিত ১৯ জনসহ মোট ৬৯ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন। নতুন গঠিত মন্ত্রিসভায় দুইজন পূর্ণমন্ত্রী এবং ছয়জন প্রতিমন্ত্রিসহ মোট আটজন নারী রয়েছেন।’

এদিকে এবারের শ্রেষ্ঠ নারী জয়িতাদের মধ্যে ময়মনসিংহের আনার কলি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। ওরাও সম্প্রদায়ের কল্যাণী মিনজি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে লেখাপড়া করে বর্তমানে তিনি সোনাদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

সিলেটের কমলী রবিদাশ একজন সফল জননী। তিনি দিনে মাত্র ১৮ টাকা মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে এক ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তার ছেলে বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

বরগুনার জাহানারা বেগমের ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামী তাকে অ্যাসিডে দগ্ধ করেন। পরে নিজেকে একজন স্বাবলম্বী জয়িতা হিসেবে প্রমাণ করেন। খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া নিজের জনগোষ্ঠীর অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন।

Comments