নারী নির্যাতন

প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০১৯

মো: ইমরান হুসাইন বাবলু । । 

বর্তমান সমাজে নারীর ইজ্জতের উপর হামলা করে তাদেরকে বিরাক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এসব হবে, মুসলমান কি আল্লাহর হুকুম থেকে এতই গাফেল হয়ে যাচ্ছে?তাহলে মুসলাম যাবে কোথায়? অবশ্যই তাকে আল্লাহ পাবের হুকুমের দিকে ফিরে আসতে হবে।

আল্লাহ হুকুম করেছেন, মুমিনদেরকে বলে দিন, হে রাসুল, তারা যেনন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্যে উত্তম। তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয় সব খবর রাখেন- সূরা ২৪ নূর ৩০ আয়াত।

সুতরাং নারীর প্রতি দৃষ্টিকে সংযত কর, মানে নারীর দেহের দিকে তাকায়ো না। নারীর দেহ পর্দার ভিতর রাখো। নারীর চোখের সামনে এনে মনের পর্দা করা সম্ভব নয়। নারীরা বরং পর্দার বিতরই থাকবে। কারণ নারী হলো পুরুষের কাছে টক বস্তুর মত। কেননা নারীকে একবার দেখলে । তার প্রতি অজান্তে আরেকবার তাকাতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এইভাবে বারবার দেখতে দেখত , আরও ঘনিষ্ট হয়ে পড়ে এবং পাপে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়ে পড়ে।

কারণ পুরুষের মধ্যে নারীর প্রতি আকর্ষন জন্মগত। এই আকর্ষণ দূর করা যায় না। যিনি এই আকর্ষণ দিয়ে পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন তিনি এরশাদ করেন। নারীর প্রতি আসক্তি মানুষের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে- সূরা ৩আলে ইমরান ১৪ আয়াতাংশ

সুতরাং, নারীকে সামনে রেখে স্বাভাবিক ভাবে কর্ম করে যাবে এটা নারী পুরুষ কারো পক্ষে সম্ভব নয়, আর নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে গৃহে অবস্থানের জন্য। সৃষ্টির এই বিধানকে অমান্য করে সুখ শান্তি ও অগ্রগতি সম্ভব হয় না।

যেমন মাছকে সৃষ্টি করা হইয়েছে সে পানিতেই থাকবে। আর যদি মাছটি যদি শুবিধা ভোগের লোভে লাফিয়ে শুকনায় উঠে পড়ে সে ভুল করে। সে তখন ধ্বংস হয়ে যায়। তেমনি নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে গৃহে অবস্থানের জন্যে। গৃহের অভ্যন্তরেই তার শান্তি ও অগ্রগতি।

কিন্তু যে নারীটি অধিক সুখের আশায় গৃহের বাহিরে অগ্রগতি লাভ করতে চায় সে ভুল করে, সে ধ্বংস হয়, হাদীস শরীফে আছে, উত্তম উপার্জন হলো পুরুষের নিজ হাতের উপার্জন। অর্থাৎ উপার্জনের জন্যে পুরুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে, আর নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। গৃহে অবস্থানের জন্যে।

আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান কর এবয প্রাচীন যুগের মত নিজদেরকে প্রদর্শন করে বেড়ায়ো না।-  সূরা ২১ আহযাব ৩৩ আয়াতাংশ

অর্থাৎ এই ব্যবস্থাতে নারী পুরুষ উভয়েরই শান্তি। পুরুষেরা বাহিরে কাজ করবে, আর নারীরা গৃহের অভ্যন্তরে পুরুষকে সহযোগিতা করবে। এর ব্যতিক্রম হলেই অশান্তি। তাই দেখা গেছে যে, যে বাড়ীতে মেয়ে লোকের উপার্জন ঢুকেছে সে বাড়ী থেকে বরকত উঠে গেছে। রোগ বালাই সর্বদা লেগে আছে। চিকিৎসায় সব টাকা খরচ হয়ে যায়। আর যে বাড়ীতে একক পুরুষের উপার্জন সে বাড়ীতে অল্প টাকায় সুন্দর ও শৃঙ্খলার সাথে সংসার চলছে।

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করবো। আল্লাহ অবশ্যই এহসানকারীদের সঙ্গে থাকেন। = সুরা ২৯ আনকাবূত ৬৯আয়াত

অর্থাৎ আল্লাহর বিধানকে ঠিক রাখার জন্য যে পুরুষ আন্তরিকতার সাথে হালাল ভাবে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করে যাবে আল্লাহ তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন। আর পুরুষের চেষ্টা থাকা সত্বেও যদি কোন নারী অর্থ উপার্জনের বাহানায় বাড়ীর বাহিরে হয় তবে সে জন্য সেই নারী নিজে দায়ী হবে, এবং একাই গোনাগার হবে।

নারীরা সম্ভমের উপর হামলা করে পুরুষেরা, নারীকে যতভাবে বিরক্ত করছে তার জন্য শুধু পুরুষেরা দায়ী নয়। বরং গৃহের বাহির হওয়ার কারণে নারীরাই বরং পুরুষের চেয়ে আগে দায়ী। পবিত্র কোরআন থেকেও একথা বুঝা যায় যে নারীরাই আগে দায়ী।

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করছেন, আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান কর এবং প্রাচীন যুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়ায়ো না।-  সূরা ২১ আহযাব, ৩৩ আয়াতাংশ।

এ কথার মানে হলো মুখমন্ডল দেখায়ো না। কারণ মুখমন্ডল ই হলো নিজ। দেহ থেকে মুখমন্ডল বাদ দিলে আর নিজত্ব থাকে না।সেইজন্যে এক জন পুরুষ কোন নারীর মুখমন্ডল বাদে হাত পা ঘাড় চুল মাথা সব কিছু দেখলেও মুভমন্ডল না দেখা পর্যন্ত তার দেখার আগ্রহ থেকে যায়।

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, আর মুনিন নারীদেরকে বলে দিন হে রসুল তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। – সূরা ২৪ নূর ৩১ আয়াতাংশ

পুরুষ থেকে দুরে থাকার জন্যে নারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমনকি পুরুষের দিকে তাকাতে নিষেধ করা হয়েছে। এইভাবে নারী যদি নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করে তবে, সে নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারবে পুরুষের ক্ষমতাও হবে না যে নারীর দিকে চোখ তুলে তাকায়।

যদি বেঁচে থাকার প্রয়োজনে পর পুরুষের সঙ্গে জরুরী কথা বলতেই হয় তবু সে কথা বলারও পদ্ধতি আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, যদি তোমার আল্লাহকে ভয় করো তবে পুরুষের সাথে নরম কন্ঠে এমন ভাবে কথা বলিও না, যাতে অন্তরে যার ব্যাদি আছে,তার লোভ হয়।

আর তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলিও না, এখন দোয়া করতে হবে যে আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক যেন আমাদের দেশের নারীদেরকে পর্দার অন্তরালে থাকার তওফীক দান করেন এবং নারী নির্যাতন থেকে দেশকে রক্ষা করেন, আল্লাহুম্মা আমিন।

Comments