ইবিতে বিদ্রোহী ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়ায় উত্তপ্ত ক্যাম্পাস (ভিডিও) নিউজ ডেস্ক নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯ ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিদ্রোহী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অস্ত্রের মহড়ায় উত্তপ্ত ক্যাম্পাস, আতংকিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, বেশকিছু দিন পর ক্যাম্পাসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের আগমনকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কারণ রাকিবের নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁসকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে বিদ্রোহীরা ছাত্রলীগ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাকিব কিছু সংখ্যক বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে জিয়া হল মোড়ে অবস্থান নেয়। রাকিবের গ্রুপ জিয়া হল মোড়ে অবস্থান নিয়েছে এ খবর জানা মাত্র প্রত্যেকটি ছাত্র হল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়। একপর্যায়ে রাকিব তার সমর্থকসহ জিয়া হল মোড় ছেড়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। রাকিবের সমর্থক কিছু সংখ্যক লোক লালন হল থেকে বের হলে পরে চার হল থেকে এক যোগে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জিয়া মোড়ে ওই গ্রুপটির ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে সকল হলের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা সশস্ত্র মিছিলে জিয়া হল মোড়ে একত্রিত হয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে রাকিবকে ধাওয়া দেয়। তবে বিদ্রোহীরা প্রধান ফটকে পৌঁছানোর আগে রাকিব পালিয়ে যায়। পরে বিদ্রোহীরা প্রধান ফটকে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দেয়। এসময় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে বিদ্রোহীরা। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিদাতা সন্ত্রাসীদের মদদদাতা ও লালনকর্তা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে ইবি ছাত্রলীগ। এর প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে চলে এসেছি। পরে কী হয়েছে তা আমি জানি না। এ বিষয়ে পদবঞ্চিত গ্রুপের সাবেক বিদ্রোহী নেতা শিশির ইসলাম বাবু বলেন, রাকিব বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিল। তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে নেতা হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই আমরা তাকে প্রতিহত করেছি। ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা কখনো কাম্য নয়, একটি সভ্য জাতি হিসেবে এটা কোনো দলের আদর্শ হতে পারে না। সহকারী প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল বডি এ ব্যাপারে জানা মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং উভয় গ্রুপকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি। https://www.facebook.com/ekushnews24.bd/videos/1459253574238296/ Comments SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: