‘সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. খোদাদ্রোহী শক্তির কাছে কখনও মাথানত করেননি’

প্রকাশিত: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯

মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ. আল্লাহদ্রোহী শক্তির কাছে কখনও মাথানত করেননি। প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তে আদর্শিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। তিনি গতানুগতিক পীর ছিলেন না, তিনি একজন আদর্শবাদী নেতা ও আদর্শিক লড়াইয়ে উত্তীর্ণ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নেতৃবৃন্দ।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ‘মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি মানসুর আহমদ সাকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, ঢাবি’র প্রফেসর ড. মাইমুল আহসান খান, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, মুফতি ওমর ফারুক সন্দ্বিপী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ।

মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, মানুষের আত্মাক পরিশুদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থে মাওলানা ফজলুল করীম রীতিমতো রাজনীতিক ছিলেন। এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে শক্তভাবে ধারণ করে তিনি রাজনীতির একটি নির্মোহ ধারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সত্য উচ্চারণে কখনও ক্ষমতা, কারাদণ্ডের ভয় কিংবা পদ ও অর্থের প্রলোভনে প্রভাবিত হননি।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মরহুম পীর সাহেব তার বাবা মাওলানা এসহাক রহ. থেকে যে আধ্যাত্মিক দীক্ষা পেয়েছিলেন, এর পাশাপাশি তার আপসহীন নেতৃত্ব জাতীয় পর্যায়ে তাকে অপরিহার্য করে তুলেছিল। দেশ ও জাতির যে কোনো সংকটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। একজন মনিষীর জন্য যেসব গুণাবলী প্রয়োজন, তার মাঝে তা পূর্ণমাত্রায় ছিল।

মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, পীর সাহেব একজন নির্মোহ রাজনীতিক ছিলেন এবং পীর হয়েও তিনি রাজনীতিতে এসে একটি ব্যতিক্রমী ধারা সৃষ্টি করে গেছেন।

মুফতী ওমর ফারুক সন্ধিপী বলেন, তিনি উলামায়ে দেওবন্দের প্রকৃত অনুসারী ছিলেন। শিক্ষা, জিহাদ, আধ্যাত্মিকতা ও দাওয়াতের ময়দানে যুগপৎ খেদমত আঞ্জাম দেয়া ব্যক্তি বিরল।

ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী বলেন, মরহুম পীর চরমোনাই ঐক্যকেন্দ্রিক একটি শক্তিশালী প্লাটফরম তৈরি লক্ষ্যে তৎকালীণ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর জন্য তা অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

Comments