খালেদা জিয়ার রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি

প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৯

ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তর করার বিষয়ে গত ১২ মে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের শুনানি আগামী১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ খালেদার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, কেরানীগঞ্জ ঢাকা মহানগরের মধ্যে নয়। এছাড়া আইন অনুসারে পাবলিক ট্রায়ালের বিষয় আছে। এ সময় আদালত বলেন, মামলার চার্জশীট দেয়া উচিত ছিলো। দিলে তাহলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে। এছাড়া ওই আদালতের বিচারকের অধিক্ষেত্রের গেজেটা দিবেন। এছাড়া এ মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বিচার হয়েছে। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন কিনা। সেটা কি রেসটিক্টেড ছিলো না?

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফারুক রহমানের মামলার বিচার জেলখানায় হয়েছে। হুসেইন মহম্মদ এরশাদের মামলা চলেছিলো। ওনারাই সেটা করেছেন। বিডিআর মামলার অনেক আসামি। সেটার বিচার আলীয়া মাদ্রাসার পাশে কারা অধিদপ্তরের মাঠে হয়েছিলো। এ মামলাটাও ওখানে হতো । কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা হয়েছিলো। গাড়ী ভাংচুর হয়েছে।

একটা মামলাও হয়েছে। পরে মামলাটি পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক কক্ষে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে জেল খানা ট্রান্সপার হয়েছে। এখন ওই কোর্টটা জেলখানার ভেতরে নয় সম্মুখে। আমাদের কাছে ল্যাপটপে বিষয়টি আছে। চাইলে দেখতে পারেন। এ সময় আদালত সিডি জমা দিতে বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখানে মেট্রো সেশনের কোনো বিষয় না। বিশেষ জজ আদালতের মামলা। সুতরাং এখানে কোনো মেট্রো সেশনের কোনো রিলেভেন্স নেই। এরপর এ জে মোহাম্মদ আলীর সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানি ১০ জুন পর‌্যন্ত মুলতবি করেন।

এমএম/

Comments