প্রকাশিত হলো বাংলা কোচবিহার সামরিক ইতিহাস গ্রন্থ

প্রকাশিত: ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১, ২০১৯

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: আবুসালেহ সেকেন্দার এর গবেষণা গ্রন্থ “বাংলা কোচবিহার সামরিক ইতিহাস” অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে স্থান পেয়েছে সামরিক কূটনীতি বাংলার ইতিহাসে অনালোচিত বিষয়। সাধারণত বাংলার ইতিহাসকে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করা হয়।

রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে সামরিক ইতিহাস অবশ্য আলোচিত হয় শাসকদের রাজ্যবিস্তার নীতির অংশ হিসেবে। সম্প্রতি সল্পপরিসরে বাংলার সামরিক ইতিহাসের চর্চা শুরু হলেও সামরিক ইতিহাস ও সামরিক কূটনীতি, রণনীতি-রণকৌশল বিষয়ে এই গ্রন্থটিই প্রথম প্রয়াস।

সমসাময়িক ইতিহাসের মৌলিক উৎসের নতুন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই গ্রন্থে সুলতানি বাংলার সাথে কোচবিহার অঞ্চলের সামরিক ইতিহাস বিশেষ করে, উভয় অঞ্চলের শাসকদের পরস্পরের প্রতি গৃহীত সামরিক কূূটনীতি, রণনীতি-রণকৌশল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। মাত্র সতের জন ঘোড়সওয়ার নিয়ে ইখতিয়ার-উদ-দীন মোহাম্মদ ইবনে বখতিয়ার খলজি বাংলা বিজয় করলেও দশ হাজার সৈন্যের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কেন কামরূপে পরাজয় বরণ করেন। এই রকম অনেক প্রশ্নের যৌক্তিকতাও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে বিজ্ঞানভিত্তিক ইতিহাস চর্চার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দিয়ে সুলতানি বাংলা ও কোচবিহারে প্রচলিত ঐতিহাসিক মিথ বা লোককাহিনীর বিভিন্ন ঘটনার ঐতিহাসিক সত্যতা অনুসন্ধান করা হয়েছে। গ্রন্থটিতে ১২০৪ থেকে ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলা ও কোচবিহার অঞ্চলের প্রায় সব শাসকের পরস্পরের প্রতি গৃহীত সামরিক নীতি আলোচনা করা হয়েছে। হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহ ইসমাইল গাজী (র.) সহ অনেক সুফি-সাধকের সামরিক জীবনও গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে। প্রচলিত গৎবাধা ইতিহাস চর্চার বাইরে ইতিহাসকে ভিন্ন চিন্তা থেকে দেখা ও বাংলার ইতিহাসে সামরিক কূটনীতি তথা সামরিক ইতিহাসের ক্ষেত্রে গ্রন্থটি নতুন ধারার সূচনা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। গ্রন্থটির প্রকাশক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। মূল্য ২৭৫ টাকা।পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টল (বাংলা একাডেমি, স্টল # ১৫)।

/আইকে

Comments