চরজালালপুর, আলাওলপুর

গোসাইরহাটে বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ১২:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২২

গোসাইরহাট প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের গোসারহাটে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও মতবিনিময় সভা করেছে স্থানীয়রা।

উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের চরজালালপুরে এ কর্মসূচি পালন করে চরজালালপুর সর্বদলীয় যুব ঐক্যফোরাম।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) চরজালালপুর টেকপাড় বাজার সরদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে জালালপুরের কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ ও আলাওলপুর ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা আলাওলপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত চরজালালপুরকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষায় অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

বক্তব্য রাখেন আলাওলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বাচ্চু সরদার, চর জালালপুরের প্রবীণ মুরুব্বি আবুল হোসেন দর্জি, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মনসুর মাদবর, আলাওলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বাবুল বেপারী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ ঢালী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, চরজালালপুর আলাওলপুর একটা গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। দীর্ঘদিন ধরে এই জনপদ অবহেলিত হয়ে আসছে। এখানকার অধিকাংশ মানুষ সাধারণ খেটে খাওয়া। অধিকাংশ মানুষ জমিতে ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু মেঘনার প্রবাহমান স্রোতের ধাক্কায় প্রতিবছরের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে ফেলছে এখানকার মানুষ। কয়েক শতাধিক পরিবার নিজের স্বজনদের ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমান পুরো জালালপুর তথা আলাওলপুর ইউনিয়ন হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এই মুহূর্তে এলাকাবাসীর একটা চাওয়া চর জালালপুর রক্ষায় নদী পাড়ে বাঁধ নির্মাণ করা হোক।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন যুব ঐক্যফোরামের অন্যতম সমন্বয়ক, শাহপরান, মহীউদ্দীন বাবর, শাহনূর শাহীন, ওসমান গনী লিটন, বাহাউদ্দীন নাসিম, ডিএম ফয়সাল প্রমুখ।

জানা যায়, ইতোমধ্যে আলাওলপুর ইউনিয়নের চরজালালপুর মৌজার কয়েকশো বিঘা ফসলি জমি এবং কয়েক হাজার পরিবারের ভিটেমাটি মেঘনার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

প্রতিবছর বর্ষা এলেই অসংখ্য পরিবার ভিটেমাটি হারায়। ইতোমধ্যে অত্র ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ বাজার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মসজিদ মাদরাসা সহ অসংখ্য ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গ্রাস করে নিয়েছে চাঁদপুর হয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদী।

উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের পূর্বাঞ্চলে গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর, কোদালপুর, মাইজারা ও কুচাইপট্টি ইউনিয়নের বৃহৎ অংশ চাঁদপুর হয়ে মেঘনা নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থান করছে। বেশ কয়েক বছরে এসব অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবারের ভিটেমাটি মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে।

Comments