সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে গণশুনানি জনগণের জন্য: ড. কামাল

প্রকাশিত: ৮:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
ফাইল ছবি

একুশ ডেস্ক: আজ শুক্রবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের শফিউর রহমান মিলনায়তনে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন  ‘আমরা বিচারক না, কোনো বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নাই। সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে গণশুনানি জনগণের জন্য। যাতে তারা নিজ বিবেচনায় বিচার করতে পারেন। মূলত বিচার হবে ট্রাইব্যুনালে। গণআদালত যেটা বলা হয়, সেটার বিচার জনগণ করবে।’

এ সময় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘আমরা গণশুনানিতে এসেছি অনুষ্ঠানটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য। এখানে যে বক্তব্যগুলো আসবে, সবার বক্তব্য রেকর্ড করা হবে। সেগুলো পরে প্রকাশ করা হবে। বই আকারেও প্রকাশ করা হবে বক্তব্যগুলো।’

ড. কামাল বলেন, ‘এবার যে নির্বাচন হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রার্থীদের অনেকে ট্রাইব্যুনালে মামলা আকারে ফাইল করেছেন। নির্বাচনে কী ঘটেছে, সেটা জনগণকে জানানো দরকার বলে মনে করছেন দলের নেতারা।’

ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, ‘জনগণ, যারা ক্ষমতার মালিক হিসেবে ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চেয়েছিলেন। নির্বাচনে কী ঘটেছিল, কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল, এটা তাদের জানানো উচিত।’

এই গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য, সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, ‘সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে লেখা আছে, জনগণই ক্ষমতার মালিক।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আজকের এই গণশুনানিতে চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাস করা হয়। শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় চকবাজার ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শোক প্রস্তাব উপস্থাপনের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা একইভাবে একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি। এই ফ্যাসিস্ট সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় যাওয়া।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকার কারণে দেশে যা ইচ্ছা তা-ই করছে সরকার। তাকে কোনো কিছুর জন্য জবাবদিহি করতে হয় না।’

বিআইজে/

Comments