ইউরোপী ইউনিয়ন যেসব বিষয় উঠে এসছে ইইউ পার্লামেন্ট প্রস্তাবে নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ৫:২৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩ বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবটিতে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায়ের নিন্দা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অবিলম্বে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওয়েবসাইট এবং ঢাকা ও ব্রাসেলসের কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে অধিকারের মামলা’ শীর্ষক প্রস্তাবটি উত্থাপন করে মধ্য ডানপন্থী, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট, বামপন্থীসহ সাতটি গ্রুপ। ফ্রান্সের স্ত্রাসবুর্গে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রস্তাবটি নিয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশনের বিতর্কে আটজন সদস্য অংশ নেন। এর মধ্যে ছয়জন প্রস্তাবের পক্ষে এবং দুজন বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বক্তৃতা করেন। পরে বৃহস্পতিবার কন্ঠভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। প্রস্তাবে ২০২৪ সালে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে| ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক যৌথ প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চর্চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকারকর্মী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কাজের নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। প্রস্তাবে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২০২৪ সালে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বলপূর্বক অন্তর্ধান বা গুম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করাসহ বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ওই প্রস্তাবে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার এবং সংগঠনটির নিবন্ধন পুনরায় চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো যেন অনুমোদিত বিদেশি অনুদান কাজে লাগাতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বলপূর্বক অন্তর্ধানের অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা হয়েছে প্রস্তাবে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে উৎসাহিত করা হয়েছে। /এসএস/একুশনিউজ/ Comments SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: ইইউইউরোপীয় ইউনিয়নইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট